সহজ পাঠ ! হারিয়ে যাওয়া সহজ পাঠের চিত্রাংকন ছাদের পাঁচিলেই

Social

মলয় দে, নদীয়া:- চারিদিকেই বাজছে ভোটের বাদ্যি! আর তাকে ঘিরেই, ক্রীড়া, সঙ্গীত অভিনয় জগতের নানান সেলিব্রেটিদের নিত্য আনাগোনা! আর তা দেখতেই নিজেদের কাজকর্ম ফেলে সকলের হুড়োহুড়ি! কিন্তু বল্লভী আচার্য পাড়ার স্নাতক স্তরে পড়াশোনা শেষ করার পর বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় ব্যস্ত দেবপ্রিয়া দালালের অবশ্য এতে কিছু যায় আসে না! বরং তার মনে হয় নিজেকে সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখার জন্য। বিশেষ করে ইংরেজি বছরের বাঙালি উন্মাদনার কথা মাথায় রেখে অন্তত বাংলা নববর্ষ যাতে হারিয়ে না যায় তারই প্রচেষ্টা করা উচিত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি সহজ পাঠ বইটি অনেকের কাছেই ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে! এ প্রজন্মের সদ্য পড়তে শেখা ছাত্র-ছাত্রীদের অজানা নন্দলাল বসুর অসাধারণ আঁকার শিল্পকর্ম। দেবপ্রিয়ার কাছেও অবশ্য ছিল না এই বইটি, দেওয়ালে চিত্রাংকনের সময় ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে হয়েছে তাকে, তাতে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছে এ কাজে। মায়ের নাচের স্কুলেই প্রথম নাচ শেখা, তারপর বিশেষভাবে সক্ষম মূক ও বধির ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিজেই তৈরি করে ফেলেছে একটি নৃত্যদল। বাড়ির ছাদের এক কোনায় যেখানে নাঁচ শেখায়, তারই দেওয়ালে সহজ পাঠের স্বর বর্ণের ছড়া হুবহু বইয়ের পৃষ্ঠার মতো তুলে ধরেছে সে। সাদা দেওয়াল রং ব্যবহার করেছে বেস কালার হিসেবে, গ্রিল রং করার তেল রং কালো ব্যবহার করছে আঁকার ক্ষেত্রে। আর তাতেই আগামীকালকের বর্ষবরণ হতে চলেছে!

তিনতলার ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি, বাড়ির পাঁচিল, ঘরের দেওয়াল সর্বত্রই তার শিল্পকর্ম, গোটা বাড়িটা একটা সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে। এতকিছুর মধ্যেও কিছুটা সময়ের অবসরে সে ভীষণ ফটো তুলতে ভালোবাসে, আর লেন্সে দেখা বিভিন্ন বিষয় ফুটিয়ে তোলে তার শিল্প কর্মের মধ্যে দিয়ে। কালোজিরা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি পোর্ট্রেট তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে, যা হয়তো আবারও সকলের মধ্যে নজির সৃষ্টি করতে চলেছে।

Leave a Reply