শিশু মনের উদ্ভাবনী ক্ষমতা তুলে আনতে সামার প্রজেক্ট

Social

অভিজিৎ হাজরা, উলুবেড়িয়া, হাওড়া :- ‌ ‌ ‌ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর শিক্ষা দপ্তরের অধীনস্থ সমস্ত স্কুলে বর্তমানে গ্রীষ্মের ছুটি চলছে।ফলে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে শিক্ষক শিক্ষিকা দের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই।বাড়িতেই চলছে পড়াশোনা ।ছুটির মধ্যেই ছাত্র ছাত্রীদের সাথে শিক্ষক শিক্ষিকা দের একটা যোগাযোগ ও শিশুদের সৃজনাত্মক ,শিল্পকলা ,সাংস্কৃতিক গুণাবলি,পরিবেশ প্রকৃতি নিয়ে সচেতনতা বিভিন্ন বিষয় কে লক্ষ রেখে শিশুমনের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কে তুলে আনতে শিক্ষা দপ্তর গ্রীষ্মের ছুটিতে সামার প্রজেক্ট দিয়ে আসছে বিগত কয়েক বছর।

এই বছর সামার প্রজেক্ট নিয়ে উলুবেড়িয়া দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুরাজ মন্ডল চক্রের অন্তর্গত পাঁচটি অঞ্চলের প্রধান শিক্ষক দের নিয়ে কয়েকটি টিম তৈরি করে প্রতিটি অঞ্চলে অবস্থিত স্কুলগুলির পার্শ্ববর্তী সংসদগুলো তে ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা দের দেওয়া প্রোজেক্ট ( উল্লেখ্য এস আই সাহেব প্রতিটি স্কুল কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি স্কুলে ক্লাস অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ প্রস্তুত করে গ্রুপে বিভিন্ন প্রোজেক্ট এর কাজ দিতে) গুলো তারা কিভাবে করছে ,অগ্রগতি কতটা,সঠিক পদ্ধতি মেনে করছে কিনা,অভিভাবকদের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে ফোনের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষিকা গণ যোগাযোগ করছে কিনা,কোনো সমস্যা হলে সেগুলো শিক্ষক শিক্ষিকা দের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছে কিনা এই সমস্ত বিষয়ে মত বিনিময় করেন। এবং এই বিষয়ে টি ছাত্র ছাত্রীদের মনে কতটা প্রভাব ফেলছে ,বা ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের মনে এই বিষয়ে আরও কোনো ভালো চিন্তা ভাবনা আছে কিনা সেটাও জানতে চান।আজ উলুবেড়িয়া দক্ষিণ চক্রের অন্তর্গত হাটগাছ ১ অঞ্চলের খড়িয়া বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, কানসোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাড়মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তর্গত পাঁচটি সংসদের অন্তর্গত প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এস আই ও খড়িয়া বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্নেহেন্দু সামুই,কানসোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিমেষ সাঁতরা ,

বাড়মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত এবং এই কর্ম উদ্যোগের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ধুলাসিমলা অঞ্চলের পোহেলাবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিংকর মন্ডল ,শিক্ষক অনুপ প্রামাণিক সহ আরও অনেক শিক্ষক বৃন্দ সার্বিক ভাবে সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।অভিভাবকদের মধ্যে খুবই উৎসাহ লক্ষ করা গেছে এবং ছাত্র ছাত্রীরাও খুবই অনুপ্রাণিত।

Leave a Reply