মানবতার নজির ! বিয়ের রাতে নবদম্পতি দাড়ালেন ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে

Social

অতনু ঘোষ, পূর্ব বর্ধমান : বিয়েবাড়ি কিংবা অন্য কোনো আয়োজনে বেঁচে গেছে খাবার। আয়োজকেরা হয়তো চাইছেন এই খাবারগুলো সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের দিতে। অনুষ্ঠানের হ্যাপা সামলে খাবার বিতরণের সময় কোথায় তাঁদের! বিতরণে দেরি হলে আবার রয়েছে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। শুধু একটি ফোনই দিতে পারে এর সমাধান!

পূর্ব বর্ধমান জেলার রসুলপুরের পল্লী মঙ্গল সমিতির একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে জানাতে হবে ঠিকানা ও বেঁচে যাওয়া খাবারের পরিমাণ। আর তাতেই ছুটে আসবে পল্লীমঙ্গল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য দল। যাঁরা নিজ উদ্যোগে বেঁচে যাওয়া খাবার সংগ্রহ করে পৌঁছে দেবেন সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের হাতে।

শুক্রবার রাত তখন ১২:৩০। শীতে লেপ চাপা দিয়ে সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।হঠাৎ ফোন পল্লী মঙ্গল সমিতির এক সদস্যের কাছে, রসুলপুর আম্রপালী অনুষ্ঠান বাড়িতে ছিল কনিক ও সন্তোষের শুভ পরিণয় ; সেখানে বেঁচে যায় বিপুল পরিমাণে খাবার , ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গেই পল্লিমঙ্গলের সদস্যের টিম বেরিয়ে যায় উদ্বৃত্ত খাবার সংগ্রহে।

শীতের শুনশান রাত। কাঁপুনি ভুলে খাবার নব দম্পত্তি সহ পল্লী মঙ্গল এর টিম পৌঁছয় বর্ধমান স্টেশন চত্বরে। নান , চানা মশলা ভাত ডাল তরকারি ফ্রায়েড রাইস মাংস মিষ্টি সব কিছুই উদ্বৃত্ত, রসুলপুর থেকে বর্ধমান টেশন প্রায় ২৫কিমি পথ পেরিয়ে ঘড়ির কাঁটা যখন ২টো ১৫ তখন খাবার বিলি শুরু হয় স্টেশন চত্বরে অভুক্তদের মাঝে।

প্রায় ১৮০জনের খিদে মিটিয়ে , স্টেশন চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে টিম পল্লীমঙ্গল ও নবদম্পতি যখন বাড়ি ফিরছে তখন ঘড়িতে ভোর চারটে বাজতে চলেছে। ক্লান্ত সকলে, কিন্তু নবদম্পত্তির পরিতৃপ্ত হাসি জানান দিচ্ছে এক মানবিকতার এক দৃষ্টান্ত মূলক ইতিহাসের।

আসুন,আমরা সকলে এমন দৃষ্টান্তমূলক সমাজসেবার কাজে এগিয়ে এসে আরো এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।

Leave a Reply