মলয় দে, নদীয়া:-নদীয়া শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের দু নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ পারিবারিক অশান্তির জেরে জ্বলে উঠলো আগুন! টিনের এবং টালির বেশ কয়েকটি আশেপাশের বাড়িতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় সামান্য! দমকল সূত্রে জানা যায় শান্তিপুর দমকল বিভাগের নাম্বার তাদের কাছে না থাকায়, কৃষ্ণনগরে ফোন করলে , শান্তিপুর দমকল খবর পেয়ে ৫ জনের টিম একটি ইঞ্জিন সহ তাৎক্ষণিক পৌঁছায় সেখানে! যদিও ইতিপূর্বেই এলাকাবাসী সকলে বালতি করে জল ঢালতে থাকে ! দমকলের গাড়ির ঢোকার জন্য উপযুক্ত রাস্তা না থাকার কারণে , রাস্তা থেকে বেশ খানিকটা দূরে হোর্স পাইপের সাহায্য দীর্ঘ এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে, সিলিং ফ্যান, দুটি বাক্সে রাখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজ টাকা, আলমারী ভর্তি জামা কাপড়, ব্যবসায় জিনিসপত্র সবটাই পুড়ে ছারখার হয়ে যায় রান্নাঘর এবং একটি বসতঘর।
বাড়ির মালিক উৎপল কুন্ডু পারিবারিক সম্মান রক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে আগুনের দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে বক্তব্য দেন। এরপর তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে, তার কথা অনুযায়ী গৃহ নির্মাণের কয়েকটি সরঞ্জাম কিনে এনেছেন তিনি, সেটা পছন্দ না হওয়ার কারণে বাধে বচসা! ক্ষণিকের মধ্যে ঘরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। ঘরে একমাত্র ছেলে কে উদ্ধার করে উৎপল বাবু।
এ বিষয়ে তার স্ত্রীর কাছে জানতে গেলে অবশ্য, তিনি বলেন বাইরে রান্না করার সময় অসাবধানবশত সিন্থেটিক কাপড়ে আগুন লেগে যায় লম্ফ থেকে। তবে এলাকায় সূত্রে জানা যায় তাদের পারিবারিক কলহের কথা! শুধু আজ নয় দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি লেগেই থাকে! উৎপল বাবু দাবি করেন তার স্ত্রী তাকে নিয়মিত মারধর করে থাকে। এ ব্যাপারে তিনি শ্বশুরবাড়ির অভিভাবকদের জানিয়েছেন তারা আসলে, পরিষ্কার জানিয়ে দেবেন তিনি তাদের মেয়ের সাথে সংসার করতে পারবে না। এমনকি এই মর্মে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে পারিবারিক কুটকাচালি তে পাশাপাশি বাড়িঘরে আগুন লেগে যেতে পারত আজ! তাই তারাও যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ বিষয়ে। পাড়ার ছেলেদের বক্তব্য, এলাকার নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন না হলে , কোন দিন খুন হবে দুজনের একজন!