মলয় দে নদীয়া :- সারাবছর হেঁশেল সামলানো গৃহিণী হোক বা দশটা পাঁচটা ডিউটি করা কত্তা। বাঙালির কাছে বড়দিন মানে অবশ্যই বনভোজন। সাথে শিশুদের সারাদিন লাগামহীন খুশি আর আনন্দের সমাহার! প্রতি বছর শীতের প্রথম বনভোজন , শুরু হয় আজ অর্থাৎ পঁচিশে ডিসেম্বর থেকে, নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত! একান্তই যদি ফুরসৎ না মেলে তাহলে অন্য কথা ! সেক্ষেত্রে পিকনিকের দিন আগুপিছু করে নেন অনেকেই। জল বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নানা অসুবিধার জন্য গহন বনে পিকনিক ভুলেছেন অনেকেই! বরং শহরের মধ্যে ছোট্ট গোছানো, বাগান পেলেই তাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সকলে। নদীয়ার শান্তিপুরে এরকম জায়গা খুব একটা মেলে না। তবে শান্তিপুর রাষ্ট্রীয় উদ্যান, তিন নম্বর গেট বাপিদার বাগান, ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সপরিবারে পিকনিকে গেলে, মহিলাদের নিরাপত্তার কথা প্রথমেই ভাবেন পরিবার কর্তা। পথের পাশে ফাঁকা মাঠে বা যেখানে-সেখানে পিকনিক করার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা। তাই উন্মুক্ত বনাঞ্চলের থেকে ঘেরাটোপের মধ্যেই বনভোজনের ব্যবস্থা করছেন ইদানিং। ইটের দেয়ালে বন্দি শৈশব, একদিনের গাছে চড়া, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল খেলা, ছোট পুকুরে বোটিং করা , দোলনায় দোল খাওয়া সারাদিন লাগামহীন খুশির মধ্যে শিশুরা ব্যস্ত আজ! গৃহিণীরাও ছোটবেলার দোলনাচড়ার অভ্যাসের পুনর্জাগরণ ঘটে সন্তানের আবদারে, বহুদিন না দেখা বান্ধবীর সাথে ফোনে কথা বলা যায় না এমন বহু কুটকাচালি গল্পগুজব সেরে ফেলেন একান্তে, সেলফি তোলা অবশ্য এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্য! পাশেই পিকনিক করতে আসা অন্য আরেকটি পরিবারের তরুণসদস্যের সাথে, ওই পরিবারের তরুনীর মন বিনিময়ের অথবা প্রথম দেখা, হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার জোগাড় করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন না তারা। পুরুষরা অবশ্য মূলত আসেন দায়িত্ব পালনে! কিছুটা দূরে সম্পূর্ণ পরিবার বর্জিত বেশ কয়েকজন বন্ধুদের সুরাপানের দৃশ্য আকর্ষণ করলেও , আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন তিনি অপ্রস্তুত আগামীর জন্য তবে আজ নয়!