মলয় দে, নদীয়া :-বুধবার শুরু হয়, ঐতিহ্যপূর্ণ শান্তিপুরের ভাঙ্গা রাস তবে অবশ্যই শোভাযাত্রা হীন। শুধুমাত্র সামান্য আলোকসজ্জায় সজ্জিত ঠাকুর এবং শুধুমাত্র একটি বাদ্য দল। বিগ্রহ বাড়ির জন্য বরাদ্দকৃত প্রশাসনের দেওয়া সময় বিকাল চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই তারা নগর ভ্রমণ শেষ করেছেন। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন বারোয়ারির সময়সীমা। সন্ধে আটটা পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রশাসনিক বিধিনিষেধ লংঘন করতে দেখা যায়নি। তবে মাস্ক বিহীন বহু মানুষ দেখা যায়। এপ্রসঙ্গে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সচেতনতা না বাড়লে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বা আইন প্রয়োগ করলে তা অন্য মাত্রা নেয়!
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন না এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে অনেকেই মণ্ডপ সজ্জার ক্ষেত্রে, বা থিম সর্বক্ষেত্রে করোনা সচেতনতার এবং করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।বুধবার বাংলাদেশের নিয়ম রক্ষার বিসর্জনেও বড় গোস্বামী বাড়ির প্রত্যেক সদস্য ছাড়াও বাদকদের বা কীর্তন দল কেউ দেখা গেলো পারস্পারিক দূরত্ব বিধি মেনে মাস্ক, হেয়ার ক্যাপ পরিহিত অবস্থায়। অন্যান্য বিগ্রহ বাড়ির ক্ষেত্রেও দুই একজন ব্যতিক্রমী অসচেতন থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেনে চলেছেন স্বাস্থ্যবিধি। তবে বারোয়ারির ক্ষেত্রে এ ধরনের সচেতনতা খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি।