দুর্গাপুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছাড় পাওয়ার পর যেন রাতারাতি সুদিন ফিরে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের চক্রবর্তী পরিবারে। পুজোর সময় কুটির শিল্পের মাধ্যমে যা আয় হতো তা দিয়েই চলতো সারাবছর। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাসের লকডাউনের ফলে এবছর দুর্গাপুজোয় একাধিক কাটছাট করেছে পুজো উদ্যোক্তারা। তাই প্রথম থেকে সেভাবে অর্ডার আসেনি শিল্পীদের কাছে। তবে দুর্গাপুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ বার্তা পাওয়ার পরই ইতিমধ্যে সারে সারে অর্ডার আসতে শুরু করেছে শিল্পীদের কাছে। যার ফলে কার্যত বলা চলে রাতারাতি একেবারে সুদিন ফিরে এলো পরিবারের শিল্পীদের মধ্যে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। প্রায় সব বাঙালিই অপেক্ষা করে থাকেন পুজোর এই কয়েকটা দিনের জন্য। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখা, জমিয়ে আড্ডা মারা সমস্ত কিছুই পুজোর এক অন্যতম অঙ্গ। কিন্তু চলতি বছরে এই পুজোর সাজ-সজ্জার পেছনে যে সমস্ত শিল্পীদের এক বিশাল বড় অবদান থেকে যায় তাদের মধ্যে কেমন যেন অন্ধকার নেমে এসেছিল। পুজো দিনের পর দিন এগিয়ে এলেও সেভাবে অর্ডার ছিলনা শিল্পীদের কাছে।
প্রবীণ শিল্পী কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “অন্যান্য বছর রাতদিন এক করে আমরা কাজ করতাম। বাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি বাইরের লোকজনও এই কাজ করতো। কিন্তু এবছর সেভাবে অর্ডার না আসায় কাজ প্রায় বন্ধ ছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আবার আমরা অর্ডার পেয়েছি এবং কাজ শুরু করলাম।”