মলয় দে, নদীয়া :- দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল থেকে পুনরায় চালু হয়েছে। সকলে খুশি হলেও, দুশ্চিন্তায় ছিলেন সকলকে পরিষেবা দেওয়া রেল হকারদের। হ্যাঁ পরিষেবা এই জন্যই অনেক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন, পানীয় জল, খাদ্য খাবারের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চলন্ত ট্রেনে তারাই পরিষেবা দিয়ে থাকেন। অফিস যাত্রীদের ফিরতি পথে ট্রেন এবং স্টেশনের উপরে বসা দোকান থেকে বিভিন্ন দ্রব্য কেনার ফলে সময় সাশ্রয় হয় বৈকি! আর এই সমস্ত কারণেই ক্রেতা বিক্রেতার সম্পর্ক ছাড়িয়ে হকারদের সঙ্গে ডেইলি প্যাসেঞ্জারদের সম্পর্ক কখনো কখনো আন্তরিকতার কারণে হয়ে ওঠে পারিবারিক। ট্রেন কম্পার্টমেন্টে নানান ভঙ্গিমায় বিক্রি করার আদব-কায়দা দীর্ঘদিন মিস করেছেন অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারাও আবার স্বাভাবিক হবে এটাই তো কাম্য! কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিআরপিএফের চোখ রাঙানি বাড়ছে ক্রমশ! তাহলে কি হকার বর্জিত প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেন হতে চলেছে? হকার্স ইউনিয়ন নেতাদের অবশ্য এমন কিছু জানানো হয়নি,এমনকি তাদের পক্ষ থেকে কোনো বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়নি। তবুও অদৃশ্য ভয় গ্রাস করেছে তাদের। আজ শান্তিপুর রানাঘাট চাকদা শান্তিপুর কৃষ্ণনগর বিভিন্ন জায়গায় রেল হকারদের মধ্যে অনেককেই উঠতে দেওয়া হয়নি প্লাটফর্মে। তবে অনেকেই আজ প্রথম দিন হিসেবে কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। আগামীতে সমস্যা আরো জটিল হলে, গণ আন্দোলন গড়ে তুলবেন রাজ্যভিত্তিক। এমনটাই জানা গেলো, রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতৃত্তের মুখ থেকে। আজ শান্তিপুরের গোলপার্ক থেকে শুরু করে গোডাউন মাঠ পর্যন্ত প্রায় 300 রেল হকার এক প্রতিবাদী মিছিল করে। একদিকে বিজেপির বিহার জয়ের আনন্দে সাংসদের বাজনা আবির সহযোগে মিছিলের একেবারে গা ঘেঁসে জীবিকার অনিশ্চয়তায় দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে থাকা হকারদের মিছিল সাক্ষী থাকলো শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন।