নিউজ সোশ্যাল বার্তা : নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর । ২০০০ এর বন্যা দেখেছে এ শহর। শহরের অলিগলি ছিলো জলমগ্ন,অনেকের বাড়িতেও ছিলো জল। জলঙ্গীর জলে বেশ কিছু ক্ষতিও হয়েছিলো শহরের। মানুষ ভেঙে পড়েনি, সব বাধা পেরিয়ে সকলে সেই বন্যায় নিজেদের যেটুকু সামর্থ্য তা নিয়েই বন্যা পীড়িত মানুষের সাহায্য করেছিলো। তখন সোস্যাল মিডিয়ার এত রমরমা ছিলো না, হাতেগোনা কয়েকটা বাড়িতে ছিলো ল্যান্ডফোন।
কৃষ্ণনগর ছোট শহর হলেও বিপদে সকলেই সজাগ থাকে, মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বাধ সেধেছে করোনা ভাইরাস।এ এক অন্য ভয়, সরকারি নির্দেশিকা এক জায়গায় অনেক মানুষ থাকা যাবে না, ভীড় করা যাবে না, খুব দরকার না পড়লে বাড়িতে থাকাই ভালো।
ব্যাস্ত শহরের রাস্তা শুনশান, মানুষের আনাগোনা খুব কম, অনেক মেলা বন্ধ, পুতুলপট্টিতে খদ্দের নেই। বাসষ্ট্যান্ড,রেলষ্টেশনে যাত্রীকম, স্কুল বন্ধ,মন্দিরেও নির্দশিকা, সেলে সেভাবে মানুষের দেখা নেই। দোকান বাজার খোলা থাকলেও খদ্দের নেই। অগ্রদীপের মেলা বন্ধ, তাই পাড়ার কিছু ছোটারা মিলে মাস্ক পড়ে ঠাকুর পাহাড়া দিচ্ছে। সেলুনের মালিক মুখে মাস্কপড়ে চুল কাটছেন।
সেলুনের মালিক বিকাশবাবু বলেন আমি অন্যসময় মেলায় পুতুল বিক্রী করি। কিন্তু মেলা বন্ধ হওয়ায় অগত্যা সেলুন খুলেছি, তাও একবেলা বন্ধ রাখছি। সেভাবে খদ্দেরও নেই। সরকারি নির্দেশিকা মেনে রবিবার আমিও দোকান বন্ধ রাখবো, সকলের ভালোর জন্যই।
এ শহর বাঁচুক, সুস্থ থাকুক শহর। কোনো অসুখ এ শহর কে গ্রাস করতে পারবে না। এ শহরের মানুষ সর্বদা সজাগ ও সতর্ক আছে, আগামীতেও থাকবে।