মলয় দে নদীয়া :-রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং বিভিন্ন দেশের জাতীয় স্তরের শিল্পী সমন্বয়ে নদীয়ার শান্তিপুরে প্রতিবছর পয়লা পৌষ থেকে ৯ পৌষ আয়োজন করে থাকে নাট্যমেলা এবারে একুশ তম রঙ্গপীঠ নাট্য মেলা শুরু হয়েছে রামনগর পাড়া, রঙ্গপীঠের নিয়মিত মহড়া কক্ষের সাথে। যদিও এ বিষয়ে জানা গেছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে শান্তিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে এই মেলা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা হয়ে থাকে সেখানকার মানুষজনের মধ্যে নাটকের প্রতি আরো আগ্রহ সৃষ্টির জন্য। ইংরেজি গত ১৭ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছটা থেকে প্রতিদিন নাটক দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন শান্তিপুরের সাংস্কৃতিপ্রবণ মানুষজন। হিন্দি অসমীয়া এবং বাংলা তিন ভাষাতেই মঞ্চস্থ হচ্ছে থিয়েটার। উদ্বোধনের প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন , শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক কাউন্সিলর দীপঙ্কর সাহা সহ বহু বিশিষ্টজন এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব। উদ্বোধনী পর্বের পর গোবরডাঙ্গা প্রযোজিত আশিস দাস নির্দেশিত ভীষ্ম সাহানির নাটক “কবিরা খাড়া বাজার মে” চতুর্দশ শতকের বিখ্যাত সাধক কবিরের জীবনের অসহনীয় অত্যাচারকে উপেক্ষা করে সত্যের পথে এগিয়ে চলার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায় অভিনীত হয় দমদম শব্দমুগ্ধ প্রযোজিত, রাকেশ ঘোষ নির্দেশিত নাটক মায়া মৃদঙ্গ।
শিল্প সৃষ্টিতে শিল্পীর যন্ত্রণা এই নাটকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন নির্দেশক। তৃতীয় দিনে কৃষ্ণনগরের নাট্যনির্দেশক তৃষিত মৈত্রের “বড় রাস্তা ছেড়ে”, গতকাল চতুর্থ দিনে ছিল সুদূর রাজস্থান থেকে আসা রং মস্তানি গ্রুপ শিল্পীদের নাটক “মহারথী”। আজ রয়েছে শুধু বিহার থেকে আগত নির্দেশক গণেশ কুমারের “আজকা যথার্থ”, আগামীকাল নদীয়ার বগুলার শিল্পীদের “কারিগর নামা”, এরপর কলকাতার “ঝিলমিল আঁকাবাঁকা”,আসামের নাট্যনির্দেশক কৈলাস দাসের “মশা”, মহারাষ্ট্র মুম্বাই থেকে আগত নাট্য দলের প্রযোজনা “ম্যাক ব্রেথ” একেবারে শেষের দিন অর্থাৎ ২৫ তারিখ নাটক মেলা আয়োজক রঙ্গ পিঠের নিজস্ব নাটক ক্ষীরের পুতুল।