মলয় দে নদীয়া:-ইতিমধ্যেই পড়ে গিয়েছে ডিসেম্বর মাস, চলে এসেছে বেশ কিছু পরিযায়ী পাখি। কিন্তু সেই অর্থে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কম। তবে যেটি মূল সমস্যা দেখা গিয়েছিল পর্যটকদের পাখি দেখানোর ক্ষেত্রে কচুরিপানা, মাঝি এবং প্রশাসন, দুই পক্ষের উদ্যোগে সেই সমস্যা কেটেছে। আর স্বভাবতই মূল গঙ্গায় প্রবেশ করার জন্য যে রাস্তা তাও তৈরি হয়েছে। পাখিও ধীরে ধীরে আস্তে শুরু করেছে। তবে তারা আশাবাদী ২৫ শে ডিসেম্বর ফার্স্ট জানুয়ারির মতন বিশেষ দিনগুলিতে, অন্যান্য বারের মতনই পর্যটক ভিড় করবে পূর্ব বর্ধমান জেলার,পূর্বস্থলীর চুপির পাখিরালয়ে।
বিদেশ থেকে আসা অস্প্রে, গাডওয়াল, রেড ক্রেস্টেড প্রচার্ড, সহ বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির টানে ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে বহু ভ্রমন প্রিয় মানুষ ভিড় জমান চুপির পাখিরালয়ে, আর সেই কারণে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যেই সেখানে তৈরী হয়েছে আবাসন, রয়েছে চড়ুইভাতীর ব্যবস্থাও। নির্জন নিরিবিলি এলাকায় ঘুরতে ভালোবাসে এমন বাঙালি চুপির পাখিরালায় দেখেনি এমন মানুষ কমই রয়েছেন। একই সাথে স্কুলের ছাত্রদের শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য জায়গা দেখতে এসে, এক শিক্ষক তিনি জানান, শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এসেছিলাম তবে অন্যান্য বারের তুলনায় পাখি কিছুটা কম।সব মিলিয়ে বলা চলে প্রতিবছরের মতন এ বছরও বছরের শেষ দিনগুলি এবং নতুন বছরের শুরুর দিনগুলিতে পর্যটকের ভিড়ে ভাসবে চুপির পাখীরালয়। এমনই আশাতে দিন গুনছেন মাঝি থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসাদারেরা।