কর্মক্ষেত্রে মেন্টাল হ্যারাসমেন্ট বা মানসিক নির্যাতন ! কিভাবে মিলবে সমাধান ?

Social

মিমি গুহ:-কর্মক্ষেত্রে মেন্টাল হ্যারাসমেন্ট বা মানসিক নির্যাতন অন্য তম একটা ঘৃণ্য অপরাধ, তবে আজ আমরা কর্ম ক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার কথা আলোচনা করবো না।

আজ আলোচনার বিষয় হলো কর্মক্ষেত্রে অপমান, তির্যক মন্তব্য এবং সর্বপরি ইমোশনাল নির্যাতন সম্পর্কে। সারা বিশ্ব জুড়ে বছরের পর বছর বহু কর্মীকে প্রতি দিন এই জঘন্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। যার প্রভাব নেমে আসে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে।তাদের মনে জন্ম নেয় নেতিবাচক মানসিকতার।অনেকেই এই অপমানের সঙ্গে আপোষ করতে করতে ধীরে ধীরে অবসাদের স্বীকার হয়, অনেকেই এর থেকে উপায় হিসেবে মুঠো মুঠো ওষুধ কে সঙ্গী করে কেউ বা আবার আরো এক ধাপ এগিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

যদি আমরা পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বোলাই তাহলে দেখতে পাবো প্রতিদিন অন্তত ১০% মহিলা কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার স্বীকার হচ্ছে।আজ এমনি একটি ঘটনার কথা আমরা জানবো। ঘটনা টি ৩৩ বছরের একজন BHEL এর উচ্চ পদস্থ মহিলা আধিকারিকের।যিনি নিয়মিত তার কলিগদের কাছ থেকে চরম হেনস্থা ও অপমানের স্বীকার হয়ে আত্মহত্যা র পথ বেছে নেন।।ম ঘটনাটি একটু পুরোনো ২০১৯ সালের হায়দ্রাবাদ নিবাসী ওই তরুণী এক রাশ স্বপ্ন কে বুকে করে তার কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন কিন্তু বাস্তবের রুক্ষ মরুভূমি তে সহকর্মী দের কাছ থেকে চরম অবজ্ঞা, লাঞ্ছনা তাকে এই চরম অন্তিমের দিকে ঠেলে দেয়।এর থেকে চরম লজ্জা আর কি হতে পারে সমাজের জন্য। এটা একটা মাত্র ঘটনা এরকম হাজার হাজার ঘটনা রোজ আমাদের চারপাশে হচ্ছে।

আমাদের তথা কথিত শিক্ষিত সমাজের বহু প্রতিনিধি তাদের সহ কর্মী দের প্রতি এই রূপ ঘৃণ্য আচরণ করে থাকে।কিন্তু এখন কথা হলো এর থেকে মুক্তির উপায় কি? এক্ষেত্রে একটা অতি প্রচলিত কথা আছে ” প্রতিবাদ কর কারণ প্রতিটা আক্রমণের প্রতি আক্রমণ ভীষণ জরুরি ” ইন্ডিয়ান পেনাল কোডে কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা কে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।যে কোনো প্রকার মানসিক নির্যাতন এর আওতা ভুক্ত। এক্ষেত্রে দোষী ব্যাক্তির ৩ বছরের বা তার বেশি সশ্রম কারাদন্ড হতে পারে সুতরাং ভয় পেয়ে গুটিয়ে থেকে নয় প্রতিবাদটা মুখোমুখি জানাতে হবে।তবেই ঘৃণ্য অপরাধ কে রোখা সম্ভব।

Leave a Reply