মলয় দে, নদীয়া : রবিবার নদীয়ার শান্তিপুর এক নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর গেট এলাকায়, প্রথমে কানু গুহর বাড়িতে এবং পরবর্তীতে হরিদাস বিশ্বাসের রান্নাঘরে ঢুকে যায়, প্রমাণ সাইজের গোসাপ। প্রাথমিকভাবে শান্তিপুর থানায় ফোন করার পর, বনদপ্তরের প্রতিনিধি এসে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে। স্থানীয় রথিক বিশ্বাসের বাড়িতে দীর্ঘ কুড়ি মিনিটের প্রচেষ্টায় উদ্ধার হয়। বনকর্মীরা বাহাদুরপুর পলাশ গাছি বীট অফিসে নিয়ে যায়। আগত প্রতিনিধি কাছ থেকে জানা যায় এমনিতেই শান্ত স্বভাবের হয়! তবু বিশাল আকার দেহের ওজনের কারণে খুব বেশি নড়াচড়া করতে পারছে না।
গোসাপ, কোনো সাপ নয়,এটি বড়সড় টিকটিকির মতো দেখতে কিন্তু সাপের মতো দ্বিখণ্ডিত জিভসম্পন্ন সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। এটি ভ্যারানিডি গোত্রের সরীসৃপ। “গুই”/”গো” নামটি এসেছে “গোধিকা” থেকে।
বৃহত্তম গুই সাপ হল ইন্দোনেশিয়ার কোমোডো ড্রাগন। সম্প্রতি প্রমাণিত হয়েছে কোমোডো ড্রাগনেরও বিষ আছে। তবে আমাদের স্থানীয় এই গোসাপের কোন বিষ থাকে না, তবে লেজের বাড়ি বা কামড়ে ইনফেকশন হতে পারে। গুই সাপ বিভিন্ন প্রকার হয়: জলগোধিকা স্থলগোধিকা স্বর্ণগোধিকা ইত্যাদি। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কারণে, এই প্রাণীর রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! ছোট কীটপতঙ্গ, অন্য সাপের ডিম , ইঁদুর খেয়ে প্রকৃতির ইকোসিস্টেম বজায় রাখে। এই সাপের চামড়া, মাংস খাওয়ার কারণে বর্তমানে সরকারি সংরক্ষণ এর আওতায়।