থাইল্যান্ডের পিঙ্ক কাঠাল চাষ করে অধিক ফলন ও অধিক লাভের মুখ দেখাচ্ছে নদীয়ার কৃষক

Social

মলয় দে নদীয়া:-ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু বর্তমানে সার, কীটনাশক এবং অন্যান্য কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের দাম প্রচন্ড ঊর্ধগামী এবং আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় চাষীরা ফসলের সঠিক ফলন ও পর্যাপ্ত দাম পান না।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ফসল চাষির ঘরে ওঠার সময় আবহাওয়ার অবনতির ফলে চাষী সঠিক পরিমান ফলন পান না এমনকি ঋণের জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নেন। এমত অবস্থায় চাষিরা এখন বিকল্প চাষ পদ্ধতি খুজে নিচ্ছেন। বারো মাসের আম মালটা এসমস্ত তো রয়েছেই এবারে কাঁঠাল।

প্রায় একেবারেই খরচ বিহীনভাবে মাত্র তিন বছরের স্বল্প সময়ে থাইল্যান্ডের পিঙ্ক কাঠাল চাষ করে অধিক ফলন ও অধিক লাভের মুখ দেখাচ্ছে নদীয়ার মাজদিয়ার প্রশান্ত বিশ্বাস। তিনি বাংলাদেশ ঘুরতে গিয়ে লক্ষ্য করেন এই কাজ। সেখান থেকে আগ্রহবশত কুড়িটি চারা নিয়ে এসে আজ থেকে তিন বছর আগে লাগান নিজে প্রথমে বাড়ির নিকটস্থ এক বিঘা জমিতে । পাঁচটি চারা গাছ ফল না দিলেও দুই বছরের মধ্যেই পেতে শুরু করেন ১৫ টি গাছে। যদিও ইতিমধ্যেই ওই গাছ থেকেই কলমের মাধ্যমে তৈরি করেন রেখেছেন আরো শতাধিক চারা এবং খুবই স্বল্প মূল্যে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় অন্যান্য চাষীদের কাছেও বিক্রি করেন এই চারা।

তার কাছ থেকে চারা নিয়ে নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই কাঠালের চাষ শুরু করেছেন। এই চাষে প্রতিবছর গড়ে বিঘা প্রতি তিন থেকে চার লাখ টাকা লাভ হয় বলেই দাবি ওই কৃষকের। কাঁঠালের পাশাপাশি বারোমাসি আম ,বারোমাসি মৌসম্বি লেবু, হাইব্রিড পেঁপে সহ অন্যান্য ফল ও তার চারা তৈরি করছেন এই কৃষক প্রশান্ত বিশ্বাস। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও শুধুমাত্র কর্মদক্ষতার মাধ্যমে তিনি নিজে তথা অন্যান্য চাষীদের দেখাচ্ছেন লাভজনক নতুন চাষের দিশা। প্রায় প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন মানুষ আসেন তার এই নতুন ধরনের চাষ দেখতে এবং চারা গাছ সংগ্রহ করতে। তিনি বলেন চাষের জমি থাকলে চোখ কান একটু খুলে রাখলে চাষ করেও লাভ করা যায়।

Leave a Reply