মলয় দে নদীয়া :-ভারতীয় হকিকে বিশ্ব পর্যায়ে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন ‘হকির জাদুকর’ ধ্যানচাঁদ। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই অগস্ট মাসের ৬ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল এ বার থেকে খেলরত্ন পুরস্কারের নাম হবে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার। তার কয়েক সপ্তাহ পরে ২৯ শে অগস্ট মেজর ধ্যানচাঁদের ১১৬ তম জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ গোটা দেশ। উল্লেখ্য এই দিনেই সারা ভারত জুড়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয় জাতীয় ক্রীড়া দিবস। যা মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিনের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে গোটা দেশ।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ) ১৯০৫ সালের ২৯ অগাস্ট জন্ম হয় ধ্য়ানচাঁদের। ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির হয়ে হকি খেলেছিলেন ধ্যানচাঁদের পরিবারের সদস্যরা। বাবা সোমেশ্বর সিংহ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন।
একদম ছোটবেলায় কুস্তিতে মূলত আগ্রহ ছিল ধ্যানচাঁদের। যদিও পরে হকিতে মনোনিবেশ করেন। ইংরেজদের অধীনস্ত ভারতীয় হকি দলের হয়ে ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ অলিম্পিক খেলেন। প্রতিবারই দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন তিনি।
বিগত চার বছরের মত এবছরও নদীয়ার শান্তিপুর কলেজ মাঠে ২০২০ সালে গড়ে ওঠা দৌড়বাজদের সংগঠন শান্তিপুর লেটস্ রান এবারেও আয়োজন করেন ছয় দশমিক দুই আট কিলোমিটার ম্যারাথন। যা শান্তিপুর পৌরস্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয়ে, বাইগাছি মোড় ডাকঘর মতিগঞ্জ থানার মোড় মাতালগড় হয়ে হাসপাতালে মাঠে এসে শেষ হয়।
আজকের এই ম্যারাথন দৌড়ে আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন ,সুত্রাগড় ছাত্র সংঘ , মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয় রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ এবং এলাকার অধিবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়।
যদিও খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে, এ ধরনের শুভ উদ্যোগে, শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন, অ্যাম্বুলেন্স, এস্কর্ট, রাস্তার মাঝে জলের ব্যবস্থা, ব্যস্ততম রাস্তার মোড়ে সিভিক ভলেন্টিয়ার কিছুই আমাদের চোখে পড়েনি।
তবে সংগঠনের সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল যথেষ্ট । সংগঠনের সদস্য গৌরব চ্যাটার্জী সম্পাদক অভিজিৎ দাস জানান আজ, নদিয়া জেলা সহ সারা রাজ্য থেকে ১২০ জন অংশগ্রহণ করেন। যাদের মধ্যে একজন হরিয়ানা থেকে এসেছিলেন। ১৯.৫৩ মিনিটে ব্যারাকপুর থেকে আগত গৌরব চ্যাটার্জী প্রথম হন, শংসাপত্র এবং নগদ ২০০০ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করার সাথে আরও ১০ জনকে অর্থের ক্রমান্বয়ে এবং সার্টিফিকেট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তবে শান্তিপুর নৃসিংহপুর থেকে আগত ৬৫ বছর বয়সি সুভাষ মন্ডলকে বিশেষ ভাবে সংবর্ধিত করা হয়।
সুবিশাল এই ম্যারাথন প্রসঙ্গে শান্তিপুর বাসি অনেকেই না জানার কারণে অনুষ্ঠানের পূর্ণতা কিছুটা আবেগের ঘাটতি ছিল বলেই মনে হয়েছে অনেকের। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী দিন সুপরিকল্পিতভাবে সকলকে সাথে নিয়ে বৃহৎ আকার ধারণ করবে বলেই আস্থা প্রকাশ করেছেন।