মলয় দে নদীয়া :- অধিকাংশ দিন রাতেই ভাগীরথী তীরবর্তী মৎস্যজীবীরা পরিবার ছেড়ে রাত্রি বাস করেন বঙ্গাবক্ষে নদীর উপর, উদ্দেশ্য পরিবারের মুখে দুটো অন্ন জোগাড়, তার সঙ্গে অবশ্যই মাছে ভাতে বাঙালির ঐতিহ্য বজায় রেখে প্রধান খাদ্য মাছের যোগানে সমতা রক্ষা করা। তবে জল দূষণ এবং বিভিন্ন ধরনের দূষণের ফলে মাছের যোগান এখন অনেকটাই কম, এমনও রাত গেছে, মুখ বিষন্ন করে মাত্র ৫০ ১০০ টাকার মাছ বিক্রি করে ফেলেছেন তারা।
তবে খুব কম হলেও মাঝেমধ্যে বরাৎ খোলে না তা কিন্তু নয়। এক ঘটনা শান্তিপুর ভাগীরথী তীরবর্তী অঞ্চলে ঘটেছে গ রাতে।
প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কিলো ওজনের কাতলা মাছ ধরলেন মৎস্যজীবী গৌতম বিশ্বাস। শান্তিপুরে ভাগীরথী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পরপর দুটি দুটি কাতলা মাছ উঠে আসে মৎস্যজীবী গৌতম বিশ্বাসের জালে।তিনি জানান এর আগেও দুই একবার ভাগীরথী নদী থেকে এই ধরনের বড় বড় মাছ তিনি ধরে মানুষের মধ্যে একটি চমক দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো তার। গতকাল রাতে অন্ধকারের মধ্যেই মাছ দেখতে ভিড় জমায় ভাগীরথী নদীর তীরে প্রচুর মানুষজন। তবে গৌতম বাবু শুধু একটি নয় দশ বারো কেজি ওজনের অপর একটি মাছ পান একই সাথে।
বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম দামও দেন কাতলা মাছগুলোর , গৌতম বাবু অবশ্য আজ সকালে বড়বাজারে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ফুলিয়া নিবাসী কোন এক মৎস্য ব্যবসায়ী, কিনে নিয়ে যান।