মলয় দে নদীয়া :-চলছে তীব্র দাবদাহ। বিজ্ঞান বলছে পরিবেশ দূষণের কারণেই ক্রমশই বাড়বে পৃথিবীর তাপমাত্রা, জলস্তর যাচ্ছে কমে। ধর্মীয় মতে ঠিক এইরকমই এক সময়ে, দেবাধিদেব মহাদেবের কাছে প্রার্থনার পরে, উষ্ণ পৃথিবী শীতল হয়েছিলো বৃষ্টির পর, মহাদেবের মাথার জটাতেই নাকি জলাধার।
বহু প্রাচীনকালে এইরকমই নানান লোককথা অনুযায়ী শিব মন্দির স্থাপিত হয়েছে বিরাট আকারের। কৃষ্ণগঞ্জ এর শিবনিবাস, বর্ধমানের ১০৮ টি শিব মন্দির, শান্তিপুরের জলেশ্বর মন্দির দিগনগরের রাঘবেশ্বর মন্দির, আরো অনেক ।
তবে, অনেক এলাকাতে জাগ্রত শিব মন্দির থাকলেও সংস্কারের অভাবে এবং প্রচারের আলোকে না আসার কারণে তা ম্লান হয়ে থাকে। এরকমই এক শিব মন্দির নব রূপে আজ প্রতিষ্ঠা হল শান্তিপুর বাইগাছি নব মিলন ক্লাবের তত্ত্বাবধানে।
এলাকার প্রবীণরা জানাচ্ছেন প্রায় আড়াইশো বছরের পুরাতন অমরেশ্বর মন্দির এবং শিবলিঙ্গ অধিষ্ঠিত ছিলো সেখানে। তবে তা আবদ্ধ ছিল পাড়ার মহিলাদের শিবরাত্রি সহ শিবের নানান উপাচারের মধ্যেই। এলাকাবাসীর সকলের সহযোগিতা এবং বিশেষ করে নব মিলন ক্লাবের সদস্যদের প্রায় দু বছরের প্রচেষ্টায় , বর্তমানে শান্তিপুরের দর্শনীয় অন্যতম সেরা মন্দির স্থাপিত হয়েছে বলেই মনে করছেন তারা।
নবরুপে মন্দির প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী, শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ সহ, দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুষ্পা দেবনাথ, তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত বিশ্বাস এবং অন্যান্য পার্শ্ববর্তী কাউন্সিলর বৃন্দ।
তিন ঘন্টা যাবত চলে হোম যজ্ঞ। যা সম্পন্ন করে স্থানীয় ৯ জন অভিজ্ঞ পুরোহিত, বহিরাগত দুজন ।
সকাল থেকে, আগত প্রায় পাঁচ শতাধিক পূর্ণ্যার্থী আজ জল ঢালেন শিবলিঙ্গে পুজো দেন। ২০০০ এরো বেশি প্রসাদ গ্রহণ করেন। শান্তিপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এই মন্দির দেখতে ভিড় করেন।