অতনু ঘোষ, পূর্ব বর্ধমান:মেমারির দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলা গ্রামের আদিবাসী পরিবারের এবারের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী ছিল জগন্নাথ মাণ্ডি।
জন্ম থেকেই সে প্রতিবন্ধী। দুই হাত না থাকায় নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ। খর্বকায় হাতে নেই তালু, নেই আঙুলও। তাতেও দমে যায়নি সে। এবার সেই ছেলেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পা দিয়ে লিখেই এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল।
মা বাবা থাকতেই নেই। জন্মের পরই জগন্নাথ কে ছেড়ে চলে যায় মা। বাবাও থাকে অন্যত্র। বৃদ্ধা ঠাকুমার কাছেই বড় হয় জগন্নাথ। এলাকাতেই বিয়ে হয়েছে তার পিসির। পিসির রোজগারেই চলে তাদের সংসার এমনকি জগন্নাথের পড়াশোনার খরচ।
নিজে প্রতিবন্ধী,ঘরেতে অভাব, কিন্তু অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও অদম্য জেদের জোরে সমস্ত প্রতিকুল প্রতিবন্ধকতাকে দুরে সরিয়ে গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডি পার করে নুদিপুর ভুপেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের এবছরের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী জগন্নাথ!
এবার সেই জগন্নাথই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পা দিয়ে লিখেই এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল করে।
এদিন শুক্রবার মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা গেল সফলতার চওড়া হাসি জগন্নাথ মাণ্ডির মুখে।
জগন্নাথ মাণ্ডির এই সাফল্যের পিছনে যার কৃতিত্ত্ব অপরিসীম তিনি জগন্নাথের পিসিমা। ভাইপোর সাফল্যে তিনি কি বলেছেন যতদিন পারবো ওর লেখাপড়া চালিয়ে যাব।
জগন্নাথ মাণ্ডির এই সাফল্যে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে জগন্নাথের বন্ধু বান্ধব ও তার পরিবারও।খুশি পাড়াপ্রতিবেশীরাও।