শুরু অগ্রদ্বীপের মেলা ! কিভাবে যাবেন এই মেলায় জানুন বিস্তারিত

Social

সোশ্যাল বার্তা : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার অন্তর্গত অগ্রদ্বীপ একটি প্রাচীন ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম। হাওড়া-কাটোয়া লোকালে অগ্রদ্বীপ স্টেশনে নেমে টোটো বা হেঁটে ভাগীরথীর তীরে এসে নৌঁকায় পার হয়ে অগ্রদ্বীপে পৌঁছনো যায়। এছাড়াও নদীয়ার বেথুয়াডহরী স্টেশনে নেমে টোটো বা অটোতে করে যাওয়া যায় বৈষ্ণবতীর্থ হিসেবে খ্যাত অগ্রদ্বীপ।

প্রতি বছর চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে এখানে মেলা বসে। মেলায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। এই মেলাটি অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের মেলা নামেও পরিচিত।

মেলায়কয়েকটি বাঁধানো চৌবাচ্চা রয়েছে। মহোৎসবের সময় রান্না করে এখানে ঢালা হয়। সামনে কীর্তন হয় তারও বেদী রয়েছে।

গ্রামের একজন অধিবাসী জানান ” আগে মেলায় রান্না হত মাটির হাঁড়িতে, খাবার বাখারি দিয়ে নাড়া হতো। খাবার পরিবেশন করা হতো নারকেল খোলের ওড়ং বানিয়ে, কলার পাতায় খাওয়ারও প্রচলন ছিল। উঁনুন বানানো হতো লম্বা করে এবং কাঠের জ্বালে রান্না করা হতো । বর্তমানে অবশ্য বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস এর ব্যবহার হচ্ছে। মাটি,কাঠ,বেত,বাঁশ দিয়ে যা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হয় ।

নদীয়ার করিমপুর থেকে আসা এক পুণ্যার্থী জানান,গত দুই বছর করোনার কারণে আসা হয়নি। গোপীনাথের কাছে প্রতিবছরই আসি। সবার মনোবাসনা পূর্ণ করুক গোপীনাথ এটাই চাই ।

ধীরে ধীরে মেলার রুপ বদলাচ্ছে । প্রচুর পুলিশি ব্যবস্থা রয়েছে। চিৎকার, মাইকের আওয়াজে গ্রামীণ মেলার রূপেরও পরিবর্তন ঘটেছে ।

একসময় নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বারোদোলের সময় অগ্রদ্বীপের এই গোপীনাথকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত। বর্তমানে গ্রামবাসীরা আর গোপীনাথকে পাঠান না। বর্তমানে বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে । তবুও বলা চলে গ্রামীণ মেলার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ অগ্রদ্বীপের মেলা।

Leave a Reply