প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেই, গ্রাম থেকে শহরে পরীক্ষা দিতে এলো পরিবারের দুই বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রী

Social

মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুরের বাগআঁচড়া হাইস্কুলের জন্ম থেকে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত দুই ছাত্রী এবার শান্তিপুর মুসলিম হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে।রুমা মল্লিক ও ঝুমা মল্লিক নামে ওই দুই ছাত্রী সম্পর্কে দুই বোন।শান্তিপুরের বাগআঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল মল্লিকের ৩ মেয়ে। রুমা,ঝুমা এবং ছোট মেয়ে রুপা। জন্ম থেকে রুপা স্বাভাবিক হলেও রুমা এবং ঝুমা সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে একজন কথা বলতে পারেনা।হাঁটা চলার ক্ষমতা নেই।এমনকি, স্মৃতিশক্তিও প্রচন্ড কম। আর একজন হাঁটাচলা করতে পারলেও সেরিব্রাল পালসিতে হওয়ায় শারীরিক দিক দিয়ে বিশেষভাবে সক্ষম।শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তারা দুই বোন পড়াশোনার ব্যাপারে ভীষণ আগ্রহী।পেশায় দিনমজুর বাবার সংসার চালিয়ে তাদের পড়াশোনার জন্য গৃহশিক্ষক দেওয়ার মত ক্ষমতা নেই।গৃহশিক্ষক ছাড়াই স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে যা জেনেছে এবং নিজেরা চেষ্টা করে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে রুমা এবং ঝুমা।

তাদের বাবা শ্যামল মল্লিক বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন টোটোতে করে দুই মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছেন।তার মধ্যে এক মেয়েকে টোটোর মধ্যে হুইলচেয়ার বেঁধে তাতে বসিয়ে শান্তিপুর মুসলিম হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন শ্যামল মল্লিক।দুজনে এবার রাইটার নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি আলাদা ঘরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে রুমা এবং ঝুমা। শ্যামল মল্লিক এবং তাদের পরিবারের সকলেরই স্থির বিশ্বাস,’শারীরিক দিক দিয়ে বিশেষভাবে সক্ষম তাদের দুই মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবে এবং অনায়াসেই পাশ করবে।’শান্তিপুর বাগআঁচড়া এলাকার বাসিন্দা এবং বাগআঁচড়া হাই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও এমনই বিশ্বাস।

Leave a Reply