মলয় দে, নদীয়া:- বাংলা ভাষায় আবৃত্তির নবতর প্রসার ঘটে বিশ শতকের গোড়ার দিকে। প্রাচীনকাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গে আবৃত্তি বলতে যা বোঝাত তা হলো, পাঁচালী, পুঁথি, রূপকথা, আর্শিবচন ইত্যাদির সুরেলা পাঠ। আবৃত্তির মোড় ঘুরে যায় আধুনিক বাংলা কবিতার উন্মেষ পর্বে। রবীন্দ্র কবিতার আবৃত্তি দিয়েই মূলত আধুনিক আবৃত্তিচর্চার শুভ সূচনা হয়।
গতকাল ছিল কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যর মৃত্যু দিবস। গোটা বৈশাখ মাস জুড়ে চলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্ম উৎসব। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ২৫ শে বৈশাখ কবিতা রজত প্রামাণিকের পাঠ দিয়ে শুরু হয় নদীয়ার শান্তিপুর কাকলির আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এ বছরের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। বেশ কয়েক বছর যাবৎ আবৃত্তি শিক্ষা দিয়ে আসলেও সংস্থার পক্ষ থেকে এই প্রথম বর্ষ পুর্তি অনুষ্ঠান। সংস্থার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী একক, অথবা দলগতভাবে আবৃত্তি, কবিতাপাঠ, সহ নৃত্য সংগীত এবং হার্মনিকা উপস্থাপনা করে ছাত্রছাত্রীরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করেও ছাত্র-ছাত্রীদের এবং তাদের অভিভাবকদের অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। ধৈর্যসহকারে অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত প্রতীক্ষা করে অনুষ্ঠান হওয়া পর্যন্ত। শিক্ষিকা কাকলি প্রামানিক এ বিষয়ে অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চেতনা জাগ্রত করার অন্যতম এবং প্রধান বিষয় হলো আবৃত্তি। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত সমাজের বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে এবং সুন্দর বলিষ্ঠ সুস্থ মন গড়তে অভিভাবকরা আগ্রহী হয়েছেন অনেকটাই।