দীপ রায় ,নদীয়া : চোরাকারবারীদের কাছ থেকে ২ টি পাহাড়ি ময়না ও ১৭ টি টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধার করলো নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের বনদপ্তরের কর্মীরা।
জানা যায় গত বৃহস্পতিবার নদীয়ার কৃষ্ণনগর রেঞ্জ অফিস গোপন সূত্রে খবর পায় কৃষ্ণনগরের পাশে গো-হাটে বিক্রি হচ্ছে পাখিগুলি। খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে হাজির হয় বনদপ্তরের আধিকারিক সহ কর্মীরা। বুঝতে পেরেই পালিয়ে যায় পাখি বিক্রি করতে আসা ব্যক্তি।বন দপ্তরের কর্মীরা হাটের এক পাশে লুকানো জায়গা থেকে উদ্ধার করে পাখিগুলি।
বনদপ্তর সূত্রের খবর ছোট ছোট পাখিগুলি যেগুলো এখনও উড়তে শেখেনি সেগুলিই মূলত টার্গেট বাজারে বিক্রি করা চোরাশিকারীদের । পাখি চোরাকারবারিরা হাতে একটা ছোট পাখি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে খরিদ্দারের সাথে দাম মিটলেই গোপন জায়গা থেকে পাখি দেয়, বোঝার উপায় থাকে না। তবে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের একজন আধিকারিক।
পাখি পুষতে অনেকেই ভালোবাসেন কিন্তু সব পাখি বাড়িতে পোষা যায় না এই ধারণা এখনও অনেকের মধ্যেই নেই। পাখি কিনতে আসা একজন ব্যক্তি জানান, ছোট ছোট পাখির কদর বেশী কারণ ছোট্ট পাখিকে সহজেই কথা শেখানো যায়।
উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো ভুট্টার ছাতু , জল সহ বিভিন্ন খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে দেখা গেল এক কর্মীকে। খাওয়ানোর সময় নিজে নিজে বলতে শোনা গেল এত ছোট পাখিগুলো দেখেও ওদের মায়া হয় না।
সবাই মিলে পাখিদের বাঁচানোর চেষ্টা করে যেতে হবে তাহলেই প্রকৃতির সৌন্দর্য ও ভারসাম্য বজায় থাকবে ।