পেটের তাগিদে ,পারস্পরিক দূরত্ব , মুখের মাস্ক সবই হারিয়েছে ভীড় বাসে 

Social

মলয় দে নদীয়া :- লকডাউনে গন পরিবহন ব্যবস্থাগুলি যখন স্তব্ধ ছিলো তখন অনেকেই করোনার বিষয়ে মনের দিক থেকে সচেতন ছিলেন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে জেলায় প্রাদুর্ভাব বাড়ছে পড়না আক্রমণের মুখে সচেতনাতা বাড়লেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অন্য চিত্র।

সরকার পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলছেন পাশাপাশি মাস্ক করোনা সংক্রমণ এর জন্য এমন নির্দেশ রয়েছে কিন্তূ কজন তা মানছেন।

দীর্ঘ দিন লক ডাউন চলছিল তারপর সে ভাবে ট্রেন ও চলছে না কিন্তূ দূরপাল্লা বাসগুলো বেশী পরিমানে অর্থ উপার্জন এর লোভে যাত্রী তুলছেন এবং যেভাবে যাত্রীদের বাসের ওপর বসিয়ে চলছেন তাতে করোনা সংক্রমণ কতটা নিয়ন্ত্রন আসবে সেটাই এখন চিন্তার ভাজ ফেলছে।

যে ভাবে বাস ছেড়ে মাঝ রাস্তায় কিংবা প্রশাসন এর নজর এড়িয়ে বাসে যাত্রী তুলছেন তাতে অনেকেই আতঙ্কিত । যাত্রীরাও নিরুপায় হয়ে বাসে উঠে ভিড়ের মধ্যেই নিজেকে সঁপে দিচ্ছেন অনেকে অবশ্য ভয়ে বাস ছেড়ে দিচ্ছেন ।

দিনের পর দিন এই ভাবে যদি চলতে থাকে তবে সংক্রমণ বাড়তে আর দেরী নেই । ট্রেন সেভাবে না চলাতে বাসের ওপর নির্ভরশীল । দূরপাল্লা বাসগুলিতে তাই মানুষের ভিড় যেমন বাড়ছে তেমনি পারস্পরিক দূরত্ব আর থাকছে না বিপদ হাতে নিয়ে বাসে চলাচল করছে সেই চিত্র দেখা গেলো রানাঘাট ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে । প্রথমদিকে এই বাস মালিকেরাই বাস চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন যাত্রীর অভাবে। কিন্তু ট্রেন এখনো পর্যন্ত বন্ধ হওয়ায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন তারাও।

কৃষ্ণনগর বাড়ি একজন শ্রমিক জানান, অনেকদিন বাড়িতে বসে রয়েছি রেশনের চাল ও এলাকায় কিছু কাজ করে কোনো  রকমে চলছিল । বাইরে কাজ করতে তো যেতে হবে, না হলে বাড়ির লোকের মুখে দুমুঠো নিয়মিত খাবার জুটবে কি করে? সামনেই পুজো কিছু পয়সা পেলে পরিবার নিয়ে একটু আনন্দ করা যাবে তাই ভীড়ের বাসেই যেতে হচ্ছে কাজে ।

Leave a Reply