সামনেই শারদোৎসব ! ডাকের প্রতীক্ষায় ঢাক

Social

মলয় দে, নদীয়া:- আর দুইদিন পরই অশ্বিন মাস পড়ছে । বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। নীল আকাশে সাদা মেঘের হাতছানি শুরু হয়েছে। চারদিকে পূজো পূজো গন্ধ তার মধ্যে গত দুই বছর ধরে চলছে করোনা সংক্রমণের জের ফলে উৎসবের ভাটা যেমন পড়েছে পাশাপাশি উৎসবের আনন্দ অনেকটা মাটি হয়েছে বড় জাকজমক দুর্গাপুজো এখন অতীত ।

তবুও আশায় মরে চাষা সেই কথা ভেবে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব ধীর পায়ে এগিয়ে চলছে যদি সংক্রমণ বন্ধ হয় যদি একটু আনন্দ করতে পারে কচিকাঁচারা। সেই আশায় সবাই বুক বাঁধছে। তবে পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই । অনেক পূজো উদ্যোক্তা পূজো ছোট যেমন করছে তেমনি অনাড়ম্বর ভাবে পূজো করার মনস্থির করে ফেলেছে ।বাজেট যেমন ছোট তেমনি কিছু না করলে নয় এমন চিন্তা ভাবনা স্থির করে ফেলেছে ফলে অনেক কাটছাট করা হচ্ছে এবারও দুর্গা পূজো । আর এতে সমস্যায় পড়েছেন ঢাকি রা তারা এখনো পর্যন্ত বায়না পায়নি যারা মুম্বাই ,দিল্লি, হায়দরাবাদ, অন্দ্রপ্রদেশ থেকে কলকাতা বড় পূজো তে ডাক পেতেন তা দুই বছর ধরে বন্ধ ফলে সংসার চলা খুবই দুস্কর এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতেও পারছে না । ফলে চাতক পাখির মতন আশায় রয়েছেন কবে ডাক পাবেন কবে বায়না হবে । সরকার থেকে সে ভাবে সাহায্য মেলেনি তবে চাল ,গম কিংবা বিভিন্ন সংঘটন থেকে খাদ্যসামগ্রী পেলেও তা আর কতদিন!

নদীয়ার হাঁসখালির দাস পাড়ার রাজু দাস জানান, আগে সারা বছর ধরেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢাক বাজাতাম। তবে ঢাক বাজানোর সাথে সাথে ব্যাগের চেন সারাইয়ের কাজটাও শিখেছিলাম। বর্তমানে আচার অনুষ্ঠানের সংখ্যা কম তাই বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যাগ প্যান্ট সহ বিভিন্ন জিনিসের চেন সারাইয়ের কাজ করছি। তবে অপেক্ষায় আছি পুজোর ঢাকের বায়নার জন্য।

Leave a Reply