মলয় দে, নদীয়া ঃ- কৃষক বিল নিয়ে চাপান উতোর যাই থাকুক,কৃষক স্পেশাল নিয়ে খুশি সকলেই।
সম্প্রতি আম,কুমড়ো হোক বা বেবিকর্ন, ফুল হোক বা আনাজ কিংবা ফলমূল! কৃষকের উৎপাদিত ফসল জন্য মাঠে পচে নষ্ট হচ্ছিল এই ধরনের খবর একাধিকবার উঠে এসেছিল আমাদের সংবাদমাধ্যমে। দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিলো সমস্ত রকম গণপরিবহন ব্যবস্থা। যার মধ্যে স্বল্পমূল্যে সর্বত্র দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার অন্যতম রেল। স্টাফ স্পেশাল হিসেবে স্বল্প সংখ্যক ট্রেন চালু অনেকটাই৷ সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
পেট্রোল ডিজেলের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে দূরের গন্তব্যে পৌঁছানোয় পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছিলো!ফলে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছিলেন না কৃষকরা! মাঠেই নষ্ট হচ্ছিলো ফল ফুল আনাজ শস্য।
হয়তো এ কথা মাথায় রেখেই, কৃষকদের মন জোগাতেই চালু করলো কৃষক স্পেশাল ট্রেন! রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, নদিয়ায় এরকম একটি ট্রেন ভোর তিনটে কুড়ি নাগাদ গেদে স্টেশন থেকে শিয়ালদহর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে, সেই ট্রেনটি শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুরে ফেরত এসে কৃষকদের নিয়ে রওনা দেবে দুপুর একটা কুড়িত। আপাতত শান্তিপুর থেকে রানাঘাট পর্যন্ত প্রতিটা স্টেশনে দাঁড়ালেও সোজা দমদম এবং তারপর শিয়ালদহএই ট্রেন দাঁড়াবে বলে জানা গেছে ।তবে শান্তিপুর , বাথনা, হবিবপুর, কালীনারায়নপুর এবং রানাঘাটে স্টেশনে দেখা মিলল না কৃষকদের! দুধের ছানা প্রস্তুতকারীরা জানালেন তাদের ক্ষেত্রে উপকার হয়েছে অনেকটাই, কিন্তু কৃষক স্পেশাল নামাঙ্কিত এই ট্রেনে সকালে এবং বিকালের দিকে চললে তাদের কাজে লাগতো।
স্টেশনে মাল উঠা নামানোর কুলিরাওএকই অভিমত পোষণ করেন। সাধারণযাত্রীরাও কিছু না বুঝেই এই ট্রেনে উঠে পড়েছেন! আজ এই টেনের উদ্বোধনের আড়ম্বরতা দূরে থাকুক, ন্যূনতম নিরাপত্তা কর্মীদেরবা স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেখা গেল না, ট্রেন পৌঁছানো বা ছাড়ার সময়। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি শুধুমাত্র আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখাতে এমন নামাঙ্কন!রেল কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, সংবাদ মাধ্যমে প্রচার এর ফলেই জানতে পারবে কৃষক, এমনটাই মনে করছেন তারা।