মলয় দে, নদীয়া:- গঙ্গা ভাঙ্গন নতুন বিষয় নয়, সদুপায় মিলবে না জেনেই অনেকটাই ধৈর্যহীন এলাকাবাসী, খবর সংগ্রহ করতে গিয়েও বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্যে পড়েন সাংবাদিকরাও! যদিও প্রকাশিত করাই একমাত্র কাজ।
রবিবার রাত আটটা নাগাদ নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিহারিয়া মঠপাড়ায় ভাঙতে শুরু করে ভাগীরথীর পাড়। এলাকাবাসীরা জানান ওই অঞ্চলেএক কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচ ছবার চাষের জমি, ইঁটভাটা, ফলন্ত গাছ সবকিছু নদীগর্ভে। গঙ্গার তীরবর্তী চটি পরিবার জন্ম ভিটা ত্যাগ করে চলে গেছেন অন্যত্র। ২০০০ সালের বন্যার পর ভাগীরথী গর্ভে বিরাটাকার একটি চড় দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায় পরবর্তীতে অন্য কোন বন্যা না হওয়ার ফলে। সেই চড়েই ধাক্কা লেগে জলরাশি ক্রমশ এগোচ্ছে লোকালয়ের দিকে। লকডাউনের প্রথম দিকে জেলা
সভাধিপতি, জেলা শাসক পৌঁছানোর পর একটি বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও কাকে খুশি নন এলাকাবাসী। তাদের মতে বালির বস্তার সাথে অধিকাংশই মাটির বস্তা দেওয়া হচ্ছে, পাড়ের যে অংশটি জলের উপরে আছে সেখানে বেশি পরিমাণে বস্তা দেওয়া হচ্ছে চোখে পড়ার জন্য। অথচ জলের নিচে তিনটি স্তরে বালির বস্তা দেওয়া হলে জলের ধাকা থেকে অনেকটাই বাঁচানো যেতে পারে পাড়।
গতকাল সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য সেচদপ্তর থেকে এক প্রতিনিধি দল দেখতে আসেন বিষয়টি। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে প্রশাসনিক নিয়ম নীতির কথার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হতে দেখা যায়। তবে শান্তিপুর বিধানসভার কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকেই পর্যন্ত গঙ্গার পাড়ে দেখা যায়নি।