শিক্ষক আনন্দ কুমার ডাক পেলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে

Social

নিউজ সোশ্যাল বার্তা, ২০ নভেম্বর ২০১৯: প্রতিভা কখনো লুকায়িত থাকে না ।ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় যাঁদের প্রতিনিয়ত পরিশ্রম আর উদ্যোগে সমৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের ভারতবর্ষ সেই সমস্ত গুণীজনেরা অনেকেই প্রচারের আড়াল থেকেই দেশ সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন সারাক্ষণ। এমনই এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যিনি বিহারের শিক্ষক আনন্দ কুমার।

আনন্দ কুমারের জন্ম বিহারের পাটনা শহরে । তাঁর বাবা ছিলেন ভারতীয় ডাক বিভাগের একজন সামান্য কর্মচারী । তিনি একটি হিন্দি মাঝারি সরকারী স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন । কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন , কিন্তু পিতার মৃত্যু এবং তার আর্থিক অবস্থার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি । পাটনা এবং দিল্লিতে বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলের গরীব ছাত্রদের বিনা পারিশ্রমিকে আইআইডি -জেইই পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন এই অন্যতম গণিতবিদ ।

বিহারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজানুজন ইনস্টিটিউট অব ম্যাথামেটিক্স। যেখানে ২০০২ সালে থেকে প্রতিবছর ৩০ জন মেধাবী ছাত্রকে ভর্তি নেওয়া হয়। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আইআইটি-জেইই পরীক্ষার জন্য। আনন্দ কুমারের এই উদ্যোগ সারা ভারতবর্ষের কাছে আছে প্রমাণিত ।

শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয় ভারতবর্ষের বাইরে থেকেও আনন্দ কুমার সম্মানিত হয়েছেন । ২০১০ সালে রামানুজন পুরষ্কার , মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ শিক্ষা পুরস্কার, ২০১৮ সালে পেয়েছেন দুবাইয়ের মালবার গোল্ড অ্যান্ড হীরা দ্বারা গ্লোবাল এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড । ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসে এক অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশন ফর এক্সিলেন্স ইন এডুকেশন ( এফএফই ) কর্তৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনন্দ কুমারকে “এডুকেশন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯” দিয়ে সম্মানিত করেছে । গতকালই তিনি পেয়েছেন নচিকেতা ওয়ার্ড ।

(সৌজন্যে : টুইটার )

২০১৯ সালের ১২ জুলাই তারিখে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় জীবনীমূলক চলচ্চিত্র সুপার ৩০ যেটি সহ-প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেছেন বিকাস বেহল যা আনন্দ কুমারের শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম সুপার ৩০ এর উপর ভিত্তি করেই নির্মিত ।

ইচ্ছে ছিল অঙ্ক নিয়ে লন্ডনের বিখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। এবার সেখান থেকেই ডাক পেলেন আনন্দ কুমার। তবে পড়ার জন্য নয় পড়ানোর জন্য।

সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে আনন্দ কুমারকে। কয়েকটি ক্লাস নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে আনন্দ কুমারের ।

তিনি এক টুইট বার্তায় তার মনের কথাগুলি ব্যক্ত করেছেন ।

(সৌজন্যে : টুইটার )

নিজ লক্ষ্যে অবিচল থাকলে দারিদ্রতা কখনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা এটাই প্রমাণ করে দেখালেন ।