দিলখুশের গল্প

Social

নিউজ সোশ্যাল বার্তা, বিকাশ চক্রবর্তী : আমি লোকার ট্রেনের যাত্রী। প্রতিদিন পঞ্চাশ কিলোমিটার উজিয়ে অফিসে যায়। জীবনের বেশ খানিকটা সময় কেটে যাচ্ছে লোকাল ট্রেনেই!

অফিস থেকে ফিরছিলাম। দিনতি ছিল শনিবার। ট্রেন ফাকাঁই ছিল। ডিজিটাল যুগের তালে তাল মিলিয়ে আমিও ফোনে সতীনাথ ভাদুরীর ‘জাগরী’ উপন্যাসটি পড়ছিলাম।

শ্যামনগর থেকে এক দম্পতি উঠল। উঠেই বসার জায়গা পেয়ে গেল। ঠিক, আমার সামনেই ।

উঠার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে  ঝগড়া। স্বামীটির সন্দেহ, বউটি অন্য পুরুষের সাথে গল্প করে। লুকিয়ে সিম কার্ড কিনেছে।

স্বামীটি কথা বলেই চলেছে। মাঝে মাঝে মুখখারাপও করে ফেলছে। বউটা চুপচাপ বসে ছিল, তারপর একসময়, বলল, শিমুরালী স্টেশনে নামো, তারপর তোমাকে দেখছি!!
বুঝলাম, শিমুরালী না আসলে, এই কথার ফুলঝুরি থামবে না!

একসময় বউটি উঠতে গেল, বোধহয় নেমে যেতে চাইল, কিন্তু স্বামীটি হাত ধরে বসিয়ে দিল। আমি ভাদুরীবাবুর জেলজীবনে মনোনিবেশ করলাম।

বেশ খানিকক্ষণ পরে, একজন দিলখুশ বিক্রেতা উঠল। বউটি, এক প্যাকেট দিলখুশ কিনল, তারপর সহযাত্রী স্বামীকে একটা টুকরো দিল।
স্বামী মহাশয়, অর্ধেক দিলখুশ গলাধঃকরণ করে বাকী অর্ধেকটুকু সহযাত্রী বউ এর মুখে গুজেঁ দিলেন।
…ট্রেন তখন শিমুরালী ঢুকছে।।