রক্তার্পণ ও সামাজিক বার্তা নিয়ে মোটরসাইকেল যাত্রা বনগাঁ থেকে দার্জিলিং

Social

মলয় দে, নদীয়া :- নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের এবং বনগাঁর কিছু সহৃদয় যুবক রক্তের খোঁজে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ আরএস মাঠ থেকে রওনা দিয়েছিলেন গত ৯ ই জানুয়ারি! উদ্দেশ্য একটাই সুসজ্জিত এই মোটরসাইকেল রেলির সামনে মাইক প্রচার এবং লিফলেটের বার্তা থেকেই স্পষ্ট ” বিয়ের আগে ধৈর্য ধরুন! থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করুন “, “রক্তের বিনিময়ে পাওয়া মানব জীবন, হতে দেবো না কারোর মরন!” ।

বনগাঁ থেকে বাদকুল্লা, বহরমপুর, ইসলামপুর, মানীভঞ্জন, দার্জিলিং হয়ে মিরিক পৌঁছাবেন তারা। পথে বিভিন্ন সেমিনার, সভা, স্লোগানে আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা থেকে চেতনার উন্মেষ ঘটাবেন তারা।

উদ্যোক্তারা জানান, ওইদিন শতাধিক যুবক রক্তদানে ব্রতী হলেও ভারত সংঘ ক্লাব এবং পারণ পল্লী লোকনাথ স্পোটিং ক্লাবের যৌথ এই উদ্যোগ আগামীতে সহস্রাধিক সংখ্যায় দাঁড় করাবেন আগামী বছরে।
লক ডাউনের পর থেকে রক্ত সংকট দেখা যায়। এরই মধ্যেও সাধারণ মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে নদীয়া জেলার নবদ্বীপ ব্লাড সেন্টার ।

নবদ্বীপ ব্লাড সেন্টাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুপ্রিয় নাথ জানান দীর্ঘ লকডাউন এর মধ্যেও প্রতিমাসে প্রায় কুড়িটি করে রক্তদান অনুষ্ঠানে ৮৫০ ইউনিট থেকে ১২০০ ইউনিট পর্যন্ত রক্ত সংগ্রহ করতে পেরেছেন তারা। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সক্রিয় অংশগ্রহণে। তবে নবদ্বীপ ব্লাড ব্যাংক প্রতি মাসে একটি করে আলোচনা চক্রের আয়োজন করেন এবিষয়ে।

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছোট বড় ক্যাম্পে রক্ত সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন তাঁরা। নদীয়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার  সদস্যরা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান জানালেন রক্ত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ইবিএস এর সভাপতি ওসমান গনি খান। বর্তমানে বাড়ির বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও রক্তদান শিবিরের আয়োজন চলছে বলে জানান সুজয় ঘোষ নামে একজন নেগেটিভ গ্রুপের রক্তদাতা।

Leave a Reply