মলয় দে, নদীয়া :- পরিবারের আর পাঁচজন সদস্য, এ শীতের মরশুমে চড়ুইভাতি করেননি ! এমন সংখ্যা বোধহয় খুব কম। আর বাড়িতে যদি কোন বিশেষভাবে সক্ষম সদস্য থাকে , তারা যে এ আনন্দ থেকে বিরত থাকে! তার প্রকার নিশ্চিত হয়েই বলা যায়।
গতবছরে, এমনই এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দের চড়ুইভাতিতে আমন্ত্রন ছিলো, শান্তিপুরের বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের মতন শান্তিপুর মিলনী সংঘেরও। ঘরের কোণ থেকে বেরিয়ে, সেই দিনের, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের দোলনা চড়ার আনন্দ, মাঝবয়সী সময়ের লাগামহীন গল্পের মাঝেই ভেবেছিলেন, আগামীর পরিকল্পনা।
এবছর করোনা আবহে, বন্ধ রয়েছে তাদের চড়ুইভাতি।
সে কথা ভেবেই শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলানি সংঘের বাৎসরিক বনভোজনে বিশেষভাবে সক্ষম ৩৫ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তারা।
গতকাল শান্তিপুর রাষ্ট্রীয় উদ্যানে, সারাদিন খেলাধুলা ছবি আঁকা গান আবৃত্তির মাধ্যমে “আমরা ওরা” র বাঁধ ভেঙেছিলো হই হুল্লোর হাসি ঠাট্টার মধ্যে। ঘরের কোনায় অথবা ট্রাইসাইকেলিক কাটানো দীর্ঘ অবসানের জীবন থেকে একদিনের জন্য হলেও বিশেষভাবে সক্ষম বেশ কিছু মানুষ, সমাজের মূল স্রোতে ফেরার আত্মবিশ্বাস ফিরেপেলো বলেই মনে হলো তাদের হাসিখুশি মুখগুলো দেখে। ছোটদের পুরস্কৃত এবং বড়দের সংবর্ধিত করে গর্ব বোধ করেছেন, পূর্ণিমা মিলানি সংঘের সদস্যরা।