মলয় দে,নদীয়া :- গতকাল (২৫শে জুলাই ২০২১) শান্তিপুর জনউদ্যোগের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি স্মৃতিচারণের। বিষয় ছিল- “স্বাধীনোত্তর ভারতের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও শান্তিপুর”। স্মৃতিচারণ করলেন প্রবীণ শিক্ষক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মী শ্রদ্ধেয় শ্রী রথীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
শান্তিপুরের প্রেক্ষিতে এই বহমান সময়কে যারা চাক্ষুষ করেছেন, জড়িয়েছেন নানা আন্দোলনের সাথে তাঁদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন, রথীন চক্রবর্তী তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
নির্দিষ্ট সময়েই শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের প্রথমে শান্তিপুর সাজঘর ও জনউদ্যোগের সদস্যরা সমবেত সঙ্গীত ও গৌরী রায় নন্দী একক কবিতা আবৃত্তি করেন। জনউদ্যোগের তরফ থেকে শ্রী চক্রবর্তীর হাতে একটি গাছের চারা, ফুল, বই, মিষ্টি ও জনউদ্যোগের সদস্য সুমিত দাসের করা রথীন বাবুর একটি স্কেচ তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ দুঘন্টার তাঁর স্মৃতিচারণ ছিল অত্যন্ত প্রাঞ্জল এবং ঘটনা পরম্পরায় বেশ টানটান। সুদীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক ও গণ আন্দোলনের একটা বড় যাত্রাপথ উঠে এলো তাঁর স্মৃতিচারণার পরতে পরতে। প্রত্যাশা মতই উঠে আসে নানা অজানা ঘটনার আখ্যানও। শান্তিপুরকে ঘিরে যে জলাভূমি আছে তাকে ব্যবহার ক’রে এবং মৎসজীবীদের মধ্যে সম্যক রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে একটা বিকল্প কর্মসংস্থান ও রাজনীতির দিশার উল্লেখ তাঁর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে উঠে আসে।
আমন্ত্রিত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, নানা স্তরের ব্যক্তিত্ব, পত্রিকা ও সমাজসেবী বন্ধুরা প্রায় সকলেই এসেছিলেন এই স্মৃতিচারণের সাক্ষী হতে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা প্রায় সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরাও ঋদ্ধ হলাম এমন একটি মনোজ্ঞ রাজনৈতিক ঘটনা পরম্পরার স্মৃতিচারণ শুনে।
অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণে জনউদ্যোগের পক্ষ থেকে, রথীন বাবুকে, শান্তিপুর সাজঘরকে এবং আগত সকল শ্রোতা বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনেও এমন নানান বিষয়ে স্মৃতিচারণের আয়োজন আয়োজন করবে বলে উল্লেখ করা হয়।