মলয় দে, নদীয়া :- খুব স্বাভাবিক বিষয়, বীজ থেকে চারা গাছ তা থেকে পাতা ফুল ফল হবে এটাই তো স্বাভাবিক! তাহলে আর অন্য কথা কি? হ্যাঁ চাষিরা অবশ্য একটু অন্য কথাই বললেন, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে। অনেকেই মসলা হিসেবে ব্যবহৃত ধনিয়া ফল ভিজে ন্যাকড়ায় জড়িয়ে, ২৪ ঘন্টা রেখে তা মাটিতে অথবা টবে বিজ ছড়িয়ে পেতে চান ধনিয়া পাতা। কিন্তু হতাশ হয়ে,ঘন সবুজ পাতার বদলে অল্পদিনের মধ্যেই হালকা সবুজ রঙের পাতা এবং কান্ড ও শাখা-প্রশাখা অংশ বিস্তারিত হতে থাকে! ঠিক মনের মতো বাজার থেকে কেনা ধনিয়া শাকের আটির মতো হয়না, কি ঠিক বললাম তো? হ্যাঁ চাষীরা বলছেন সব ঠিকঠাক আছে, তবে পার্থক্য হয়ে যায় বীজের কারণে! আসলে বাড়িতে আমরা যে মসলা হিসেবে ধনিয়া ফল ব্যবহার করে থাকি, তা ঝাড়াই পোছাই করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই গুণগত মান কমে যায় খানিকটা। অথচ যারা এই ফল বীজের জন্য সংরক্ষিত করেন তারা অনেকটাই যত্নবান হন আমাদের থেকে।
এবাদেও হাইব্রিড বীজ ব্যবহৃত হয় পাতার ক্ষেত্রে, যার থেকে কান্ড বাপ ফুল ফলের আশা করেন না চাষীরা। অন্যদিকে আশ্বিন মাসে বপন করা দেশি ধনিয়া বীজ থেকে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত ধনিয়া ফসল প্রাপ্তি লাভ করে কৃষকরা। তাই বীজের দোকানে গিয়ে, শুধুমাত্র শাক হিসেবে ব্যবহৃত বীজ ক্রয় করাই শ্রেয়! শুধুমাত্র বর্ষাকাল বাদে, সারা বছরই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সুস্বাদু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই পাতা তবে বা বাড়িতে পড়ে থাকা এক চিলতে মাটিতে করে থাকেন অনেকেই। শুধু শরীরের দিক থেকে নয়! নিজে হাতে বপন করার পর বেড়ে ওঠা দেখে মানসিক ভাবেও সুস্থ থাকা যায় অনেকটাই! বাড়ে দায় দায়িত্ব কর্তব্যবোধও। এ ধরনের বিভিন্ন শাক, আনাজ বাড়িতেই উৎপাদিত হলে, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক থেকে পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা যেতে পারে! সাথে পারিবারিক আর্থিক সাশ্রয় তো বটেই!