মলয় দে, নদীয়া :- শুরুটা হয়েছিল দু’বছর আগে! একই স্কুলে পড়া বিভিন্ন বন্ধুদের কিশোর মন বিদীর্ণ হয়েছিলো, পথের পাশে আশ্রয়হীন অভুক্ত ভবঘুরেদের দেখে। বিদ্যালয়ের টিফিন বাঁচিয়ে সকলে ফেরার সময়, কিছু খাদ্য তাদের খাইয়ে পরিতৃপ্ত হতো বন্ধুরা। একটু বড় হওয়ার পর, কিছু করার প্রবণতা জন্মেছিলো তাদের। প্রত্যেকের মায়েদের হাতে গড়া দু-তিনটি রুটি দিয়ে গড়েছিল রুটি ব্যাংক যা সারা নদীয়া জেলার বগুলার ভবঘুরেদের একমাত্র নিশ্চিতভরসা। কিন্তু সে তো দুবেলা! দুপুরে ও রাতে, কিন্তু বাকি সময়েও তো খিদে পায়! মানসিক অবসাদে মুখ না খুললেও ক্ষুদার্থ মুখগুলো দেখে এতদিনের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারে রুটি ব্যাঙ্কের সদস্যরা! বন্ধুদের শলাপরামর্শে শহরের ব্যস্ততম জায়গা, রেল স্টেশন, সহ বিভিন্ন জায়গায় দোকানের ঠিক পাশে, মানবিকতা জাগ্রত করার কিছু বক্তব্য সম্বলিত একটি পোস্টার এবং একটি ঝুড়ি।
অত ব্যস্ততার সাথে মুখে সিগারেটে আগুনটা দিতে গেলেই, চোখে পড়বে ওই কথাগুলো! অথবা নিজের প্রিয় পরিবারের সদস্য অথবা ঘনিষ্ঠ মানুষটিকে জোর করে কিছু খাওয়ানোর জোরাজুরি মাঝেই চোখে পড়ে ওই দৃশ্য।
লজেন্স, চিড়ে ভাজা প্যাকেট , কলা, বিস্কুট মুড়ি এরকম নানা জিনিস ওই ঝুড়িতে পড়েছে ইতিমধ্যেই দোকানিরা এমনটাই জানালেন! দুবেলার বাকি একটি মেলা অর্থাৎ যেটাকে আমরা ব্রেকফাস্ট বলে থাকি! তা এবার ওই ভালোবাসার মানুষগুলোর বরাদ্দেও জুটলো এ প্রজন্মের মানবিকতায়! তবে এরই মাঝে , বেশকিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ভিক্ষুক হরে কৃষ্ণ বলে হাসপাতালেও, মিলছে খাবার পয়সা নয়!
যারা এই মানবিকতার ঝুড়ি এখনো দেখে উঠতে পারেননি! তাদের উদ্দেশ্যেই আমাদের এই সংবাদ পরিবেশন।