মলয় দে, নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা মাঝবয়সী গৃহবধূ শ্যামিকা প্রামানিক আর্থিক অনটনে নড়বড়ে সংসারের কিছুটা স্বচ্ছলতা ফেরাতে নিজের বিশ্রামের থেকে সময় বের করে এসেছিলেন সেলাই শিখতে।
ষাটোর্ধ্ব ছায়া প্রামানিক এ বয়সেও সেলাই শিখতে এসেছিলেন দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে।
যুবতী রিয়া চৌধুরী চাকরির বর্তমান বাজার আগেভাগে বুঝেই এমএ পড়ার ফাঁকে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সেলাই শিখতে শুরু করেছিলেন।
এইরকমই বিভিন্ন বয়সের পায়েল দত্ত, কাকলি ঘোষদের মত ১২ জন মহিলা আজ থেকে এক বছর আগে শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের সেলাই স্কুলে সেলাই শিখতে এসেছিলেন!
সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সুশান্ত মঠের কাছ থেকে জানা যায়, বহু প্রাচীন এই লাইব্রেরীতে পাঠকের বই পড়ার নিয়মিত অভ্যাসের পুনরুদ্ধার করতে সুচিন্তিত পরিকল্পনায় সেলাই শেখার ব্যবস্থা করেছিলাম, যাতে তাঁরা স্বনির্ভরতার উদ্দেশ্যে এসে কিছুটা সময় বইয়ের পাতায় চোখ বোলান !
লাইব্রেরিয়ান পার্থ প্রামানিক জানান শান্তিপুরের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মহিলা প্রশিক্ষক এবং অভিজ্ঞ মহিলা কাটার রেখে এই প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছিলো এক বছর আগে। সেবারও বাধ সেধে ছিলো অদৃশ্য দানব। সবেমাত্র নতুন অবস্থায় মেশিনে বসে হাত সেটিং করার উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছিল হাজারখানেক মাস্ক, তারপরেই হয়ে গেল লকডাউন! বিক্রির কথা ভুলে , সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বাস্থ্যকর্মী সাফাই কর্মী সাংবাদিক বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এইরকম অনেককেই বিতরণ করে দেওয়া হয় সেগুলি। তারপর লকডাউন খোলার পর নাইটি এবং সায়া সবেমাত্র শেখানো শুরু হয়েছে এমন সময় আবারো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লো! এই মহিলারা নিজেরাই বললেন বাঁচলে পরে তবেই অর্থের প্রয়োজন! লাভ পরে হবেখণ, বরং এবার বিশেষভাবে সক্ষম এবং প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হোক এই মাস্কগুলি!!