মলয় দে, নদীয়া :- সারা ভারতবর্ষ জুড়ে বন্ধন ব্যাঙ্ক ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে জায়গা করে নিয়েছে। বন্ধন ব্যাংকের গ্রহীতাদের অ্যাকাউন্টের টাকা ঢোকায় চিন্তায় গ্রাহকরা। ঘটনাটি নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানা এলাকায় পাঁচশ’র বেশি বন্ধন ব্যাংকের মাইক্রো ফাইন্যান্স লোন গ্রহীতাদের মহিলাদলের একাউন্টে ছয় সাত হাজার থেকে এক লক্ষ বারো হাজার টাকা পর্যন্ত ঢুকেছে প্রায় অধিকাংশ গ্রাহকের !
শাখা অনুযায়ী সপ্তাহের একদিন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে একজন ক্রেডিট অফিসার অর্থ সংগ্রহ করতে আসেন। বিভিন্ন দলের মহিলাদের একটি জায়গায় একত্রিত করে লোনের টাকা তাঁরা সংগ্রহ করেন। মঙ্গলবার নদীয়ার শান্তিপুরের থানার মোড়ে আনন্দময়ী পাড়ায় দলের লোনের সংগৃহীত টাকা নিতে এসে বিক্ষোভ এর মধ্যে পড়েন ব্যাংক কর্মচারী। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জানান তাদের একাউন্টে টাকা ঢুকেছে গত দু’দিন ধরে! ব্যাংকে গিয়ে আপডেট করে দিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ! ভগবতী দাস রোডে অবস্থিত বন্ধন ব্যাংকের অন্য আরেকটি শাখা অফিসেও অধীনস্থ লক্ষীতলা পাড়ার একটি মহিলা গোষ্ঠীদের একই ঘটনা ঘটে, তাদেরকে বোঝানো হয়েছে লোন অটোরিনিউয়াল হয়ে গেছে।
শান্তিপুরের গোবিন্দপুরে এ ধরনের আরেকটি অফিস থেকে জানানো হয়, লকডাউন চলাকালীন অনেকেই লোনের টাকা সময় মতো পরিশোধ করতে পারেননি, অথচ যারা দিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত এসেছে! বিভ্রান্তিকর নানান রকম তথ্যে শান্তিপুরের শোরগোল পড়ে গেছে ব্যাংক গ্রাহকদের মধ্যে। এ বিষয়ে বন্ধন ব্যাংকের শান্তিপুর বাইগাছি মোড়ে অবস্থিত প্রধান অফিস এর শাখা ব্যবস্থাপক সাহিদ আলী বলেন “এটা মাইক্রোফাইন্যান্স এর বিভাগ ফলে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে পূর্ণ তথ্য আমি পাইনি! তবে এ ধরনের যে ঘটনা ঘটেছে তা শুনেছি বিভিন্ন গ্রাহকদের টেলিফোনে। বিস্তারিত তথ্য জেনে বিস্তারিত জানাবো”।