মলয় দে, নদীয়া:-পৈতৃক নিবাস হুগলি জেলার বলাগড়ে হলেও, কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী ১৮৭৮ সালের ২৭শে নভেম্বর নদীয়া জেলার জমশেরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মসূত্রে নাটোরের মহারাজার সচিব, কলকাতা কর্পোরেশনের লাইসেন্স ইন্সপেক্টরের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু পদে তিনি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছিলেন।
কাব্যচর্চা তাঁর ছোটবেলা থেকেই, রবীন্দ্রপরবর্তী কবিদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। পল্লীপ্রকৃতির সৌন্দর্য ও সুখ দুঃখের কথা, ভাগ্য বিড়ম্বিত ও নিপীড়িত নারীদের দুরবস্থার কথা তার কাব্যে দরদের সাথে বর্ণিত হতো । তাঁর কাব্যচর্চার মধ্যে “কাজলাদিদি” “অন্ধ বন্ধু” “অপরাজিতা” “নাগেশ্বর” “নীহারিকা” “মহাভারতী” সহ বহু লেখনি আজও অদ্বিতীয়। ১৯৪৮ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।
নদীয়ার করিমপুরে শুক্রবার
বাজার কমিটির সভাপতি সুবোধ রায়,করিমপুর ১ নং ব্লকের বিডিও অনুপম চক্রবর্তী, ব্লকের সহ সভাপতি অরুন কুমার মন্ডল, গৌতম কুন্ডু সহ এলাকার বিশিষ্ট কবিদের সাথে নিয়ে বিধায়ক ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক বিমলেন্দু সিংহ রায় কবির স্মৃতিচারণায় নিমগ্ন ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে কিছুদিন আগেই কবির একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন এর ব্যবস্থা করেন বিধায়ক । তাঁর পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের সদস্যদের উপস্থিতিতে কবির কাব্য চর্চা এবং জীবনশৈলী নিয়ে স্মৃতির রোমন্থন করতে দেখা গেল।