মলয় দে নদীয়া:-১৯৮৬ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি পথ চলা শুরু শান্তিপুর সাংস্কৃতিকের। কলকাতা বা শহরতলীর বহুদূরত্ব হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত অনুশীলন, প্রদর্শন যথেষ্ট অসুবিধা।
তবুও সকল সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলার বিভিন্ন জেলায় নাট্যকর্মীদের অনুপ্রেরণা দান ও নাট্যপ্রেমীদের মনের খোরাক মেটাতে সক্ষম হয়েছে এই সংস্থা।
প্রতি বছরে সাতাশে মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে সারারাত নিজস্ব সংস্থা বাদেও বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে লোক গান, ভোরের গান , নাটক ,কবিতা ,ছবি আঁকা কবিতা লেখা, মুভমেন্ট, নিয়ে সারারাত দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন সেই ২০০২ সাল থেকে “নাট্য কোজাগরী”অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
কে বি প্রামানিক স্ট্রীট, ভারতমাতা শান্তিপুরে অবস্থিত তাদের নিজস্ব মহড়া কক্ষে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের ও সদস্যদের বাচ্চা মাঝারি ও পূর্ণ বয়স্ক দের তিনটি বিভাগে আলাদা আলাদা অনুশীলন ব্যবস্থা থাকে সারা বছর।নতুনদের জন্য কর্মশালা প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসে নাগাদ শুরু হয়।
বিগত সাত বছর ধরে নিয়মিত থিয়েটার শুরু করেছেন তারা, ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে একটি করে নিয়মিত থিয়েটার পরিবেশন করেন শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী হলে।
গতকাল শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী হলে দুই হাজার কুড়ি সালের প্রথম মাসের নিয়মিত থিয়েটার প্রদর্শিত হলো জনসাধারণের উদ্দেশ্যে, চলবে আরো নয় মাস, প্রতি মাসে একটি করে।
কৌশিক চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত ,(বেশ কয়েকটি অভিনীত) রক্ত উপাখ্যান, অংশুপট, উপাখ্যান, গুলি, শাদা ঘোড়া, ফিরে দেখা, গন্ধ জালে, জতুগৃহ… সহ বেশ কিছু বিখ্যাত থিয়েটার শুধু বাংলায় নয় বাংলার বাইরে দর্শকদের মন জয় করেছে।