দেবু সিংহ , মালদা; চলছে দুর্গাপুজো। আর আজ মহাষ্টমী। অষ্টমীর দিনে এক ফুলের দোকানদারের করোনা আক্রান্ত হওয়াই আতঙ্ক ছড়ালো মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে। শনিবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে ফুলের দোকানদার এবং তার পরিবারের আরও একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকছে আক্রান্তের সংখ্যা। ফুটে উঠছে মানুষের চরম অসচেতনতার ছবি। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল করোনা আবহের কারণে এবছর দুর্গাপুজো হোক কিন্তু উৎসব নয়। কিন্তু কে কার কথা শোনে?
করোনাকে ভুলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবে। হরিশ্চন্দ্রপুরের বহু জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে মানুষের চরম অসচেতনতার ছবি। মাস্ক পড়ছে না অনেকেই। সামাজিক দূরত্ব মানার তো কোন বালাই নেই। একজন ফুলের দোকানদারের কাছ থেকে অনেকেই ফুল কেনেন। ফলে মনে করা হচ্ছে অনেকেই ওনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসতে পারেন। তাই সচেতন মানুষেরা ভয় করছেন সংক্রমণ আরো ছড়াতে পারে। আর পুজোতে মানুষ যেভাবে অসচেতন হয়ে উঠেছে। পুজোর পর যে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়বে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আজ সেই আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে এবং দোকানে দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজেশন করা হয়।
হরিশ্চন্দ্রপুরের অগ্নিনির্বাপন কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ প্রবীর রায় বলেন,”আমরা আজ স্যানিটাইজেশন এর জন্য বেরিয়েছিলাম। শুনলাম একজন দোকানদার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই ওনার বাড়ী এবং দোকানও স্যানিটাইজেশন করে গেলাম।”
স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। পুজোর পর যেভাবে করোনা ছড়াবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু টনক নড়েনি মানুষের। তাই সংক্রমণ বাড়ছে। এই হরিশ্চন্দ্রপুরেই পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক অনেক ফ্রন্টলাইন কর্মীই মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু মানুষ নিজের জায়গাতেই থেকে গেছে।