মলয় দে, নদীয়া :- তখন দুপুর ১২ টা! চড়া রৌদ্রে বাড়ির ছাদে দুর্গা মায়ের চোখদানের কাজ চলছে। তবে মাটির প্রতিমায় নয়! শাড়িতে আঁকা শারদ উৎসবের ছবিতে দুর্গা মায়ের চোখ। নদীয়া শান্তিপুর শহরের নিশ্চিন্তপুরের অঙ্কনশিল্পী সোনা শর্মা একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছবি আঁকার অস্থায়ী শিক্ষক। ক্লাস টু থেকেই আঁকার প্রতি তার ঝোঁক! পিতা চন্দন শর্মা বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকার কর্মচারী!
তিনিও সরকারি গুরুদায়িত্ব পালন করার ফাঁকে ফাঁকে বাণিজ্যিকভাবে আঁকার পথ প্রশস্ত করেছিলেন। পুত্র সোনা শর্মার আগ্রহ সেইদিকেই। শুধু দুর্গাপুজো নয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের থিমের আঁকা, ঘর সাজানো সৌখিনদ্রব্যের উপর অসাধারণ অংকন ফুটিয়ে তোলার কারণে তার বাড়িতে শিল্প আগ্রহীদের ভিড় লেগেই থাকে। পাঞ্জাবি শাড়ি টি-শার্টের মত নানা পরিধেয় বস্ত্রের উপর অসাধারণ শিল্পকর্ম সম্পূর্ণ তার নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত। পুজোর আগে থেকেই অনেকেই শাড়ি দিয়ে যায় অসাধারণ শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলার জন্য। তবে হ্যাঁ আসন্ন দুর্গা উৎসব উপলক্ষে ছবি আঁকার জন্য আর অর্ডার নিচ্ছেন না তিনি! এখনো পর্যন্ত নটি শাড়ি প্রস্তুত করতে বাকি তার। হাতে মাত্র সাত দিন সময়! তাই জোর কদমে ছাদ ভর্তি শাড়ি মেলে, প্রখর রৌদ্রেও চলছে একেবারে শেষ পর্বের তৎপরতা।
তবে তার অংকন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে সফল অঙ্কন শিল্পী হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন তিনি।