মলয় দে নদীয়া:-বর ও কনের দুজনেরই বয়স বারো। দুজনেরই পিতা সমর মন্ডল গোত্র আল্যমান। ২০০০ আমন্ত্রিত পাত পেতে খেয়ে, আশীর্বাদ করলেন নবদম্পতিকে।
একটু অবাক হচ্ছেন তো? তাহলে খোলসা করেই বলি ।আগে হ্যাঁ বনস্পতির বিবাহের ক্ষেত্রে এটাই উপযুক্ত বিবাহের সময়। আজ থেকে ১২ বছর আগে শান্তিপুর স্টিমার ঘাট অঞ্চলে গঙ্গা পাড়ে রোপণ করেছিলেন এই বৃক্ষ, মনে ভেবেছিলেন উপযুক্ত বয়স হলে করাবেন শুভ পরিণয়। পেশায় কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ম্যানেজার হলেও, চাষআবাদ প্রিয় সমর বাবু অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন গুরুজনদের কাছ থেকে শোনা , ৭৫ বছর আগে পাশের পাড়ার এ ধরনের একটি আয়োজনে।
সমরবাবুর একমাত্র কন্যা সৌমি প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রী, ঠাকুর মশাইয়ের বট পাকুড় সংক্রান্ত শাস্ত্রীয় বাঁধা এড়াতে, নাম দিয়েছে “ঈশান ঈশানি” মন্ডল।
আজ থেকে প্রায় ৭ দিন আগে থেকেই দূর-দূরান্তের অতিথি দেড় আপনের কাজ শুরু করেছিলো সৌমি। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে গতকাল রীতিমতো সকলকে নিমন্ত্রণ করে আসে।
মণ্ডল পরিবারের রীতি অনুযায়ী গায়ে হলুদ, জলসাধা, সাত পাকে ঘোরা, সম্প্রদান, সবটাই হয়েছে বাজনা সানাই সহযোগে, রীতিমতো ঘটা করে। তবে ভুঁড়িভোজ শুধুমাত্র বিয়ে বৌভাত একত্রিত করে আজ।
এলাকার প্রবীণদের কাছ থেকে জানা যায়, পাড় ভেঙেগঙ্গা ক্রমাগত ধেয়ে আসছে শহরের দিকে, বারো বছরের আগে লাগানো বৃক্ষ তার নির্ণয়ক। এ ধরনের দুটি আয়োজন তারা শুনেছিলেন, তবে দেখলেন এই প্রথম।
বিয়ে পড়ানো ঠাকুর মশাই প্রদীপ ব্যানার্জি , উপযুক্ত পৌরোহিত্য সহ ফর্দ অনুযায়ী সমর বাবু হাজির করেছিলেন সকল দ্রব্য। তাই সুসম্পন্ন ভাবেই মিটলো শুভ পরিণয়।