সোশ্যাল বার্তা: বিশ্ব নৃত্য দিবস সারা বিশ্বে প্রতিবছরের মতো ২৯ শে এপ্রিল উদযাপন করা হয়, ব্যালে নৃত্যের স্রষ্টা জ্যঁ জর্জ নভেরের জন্মদিনে।
ইউনেস্কো ১৯৮০ সালে তাঁর জন্মদিন ২৯ এপ্রিলকে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস ঘোষণা করে। তখন থেকে পৃথিবীব্যাপী বিশ্ব নৃত্য দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয় । আদি এবং সমসাময়িক নৃত্য নিয়ে যারা ভাবছেন, নৃত্য নিয়ে নানা ধরনের গবেষণাধর্মী কাজের সাথে যাদের সম্পৃক্ততা আছে যারা নৃত্য কে ভালোবাসেন, নৃত্য কে মনে প্রাণে ধারণ করেন তাদেরকে নিয়ে
বিশ্ব নৃত্য দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ নদীয়া দক্ষিণ জেলা সংগঠন। উঃ২৪ পরগনার বারাকপুর ও নদীয়া জেলার কল্যাণী গয়েশপুর শিমুরালীর ষোলোটি নৃত্য দলকে নিয়ে কল্যাণীতে এবছর অনুষ্ঠিত সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব নৃত্য দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান।
সুষ্মিতা রায়ের মঞ্জরী, অনুশ্রী দত্তের অনুভাব,নবমিতা কর আচার্যের রিদিমস দি স্টেপ অফ ডান্স, বারাকপুরের শর্মিষ্ঠা দত্তের শর্মিষ্ঠা দত্ত এন্ড গ্রুপ, সুব্রত মন্ডলের রুদ্রাক্ষ, পঙ্কজ সিংহ রায়ের মাল্লারী, প্রদ্যুত ভট্টাচার্যের নৃত্যবিতান দেবাশীষ আচার্যের আহেলী- শিমুরালী, তপন সিকদারের ইন্দিবর, দেবাশীষ আচার্যের নবতরঙ্গ- কল্যাণী, সোনিয়া মিস্ত্রি র সনু ডান্স, শুভ্রা গুপ্তর ঐক্যা ঐশিকী, গয়েশপুরের টুম্পা সরকারের প্রদীপ্ত ড্যান্স, সোমা ব্যানার্জীর ঘুঙুর নৃত্যালয়, শাশ্বতী বসুর সৃষ্টি নৃত্য গোষ্ঠী এই ষোলোটি নৃত্য দলের যৌথ আয়োজনে কল্যাণীর ঋত্বিক সদন প্রেক্ষাগৃহে উদযাপিত হলো বিশ্ব নৃত্য দিবস ।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন নৃত্য গুরু মন্টু দেবনাথ অসিত আচার্য অরূপ ঘোষ রায়, কল্যাণী পৌরসভার চেয়ারম্যান ড. নীলিমেশ রায়চৌধুরী ভাইস চেয়ারম্যান বলরাম মাঝি । সভাপতিত্ব করেন বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ নদীয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি ও বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অমিতাভ বিশ্বাস । অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের ভারত কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিস সরকার । তিনি বলেন বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতি চর্চা প্রচার প্রসার ও সমাজকল্যাণ মূলক কাজের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বাঙালির মন ও মননের বন্ধন গড়ে তুলতে চায় বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ ।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলা দেশ- বিদেশের বিভিন্ন বাঙালিদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে বাঙালি জাতিসত্তার পুনঃ জাগরণের নিরলস প্রচেষ্টা করে চলেছে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পী সরকারের পরিবেশনায় “বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারো—–” রবীন্দ্রসংগীতটি সংগঠনের থিম সঙ হিসাবে পরিবেশিত হয় । নৃত্য গুরু মন্টু দেবনাথ বলেন বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের এই আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে । আগামী বছর আরো অনেক নৃত্যদলের অংশগ্রহণ হবে সুনিশ্চিত । বিভিন্ন নৃত্য ধারার ব্যাখ্যা করেন। কল্যাণী পৌরসভার চেয়ারম্যান ড. নীলিমেশ রায়চৌধুরী বলেন কল্যাণীতে এমন আয়োজন সর্বপ্রথম । নৃত্য শুধু ভঙ্গিমায় নয় । নৃত্য কে আত্মোপলব্ধি করতে হবে ।
কল্যাণী পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলরাম মাঝি বলেন আমাদের সংস্কৃতিকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সাংস্কৃতিক চর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে । সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন বাচিক শিল্পী দেবনিষ্ঠা জানা সজল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায় । আজকের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নৃত্য দলের শাস্ত্রীয় নৃত্য গৌড়ীয় নৃত্য রবীন্দ্র নৃত্য সৃজনশীল ও লোকনৃত্য পরিবেশন প্রেক্ষাগৃহ উপচে পড়া ভীড়ে দর্শক শ্রোতাদের প্রশংসার দাবি রাখে । অনুষ্ঠানে সমস্ত গুণীজনদের এবং সমস্ত নৃত্য দলকে সম্মাননা প্রদান করা হয় ।