মলয় দে নদীয়া :- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়”আমরা কাজ করি আনন্দে, মাঠে-ঘাটে বেলা কাটে সকাল হতে সন্ধ্যে”।
নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর তুষ্টলাল হাইস্কুলে গতকাল ১৫ জন কৃষককে রাজকীয় সংবর্ধনা দিলো শান্তিপুর প্রয়াস। সদ্য পড়াশোনা শেষ করা কিছু যুবক এর আগেও মানবিক কারণে সামাজিক দায়িত্ব পূরণে পার্থেনিয়াম নিধন, চারাগাছ দত্তক দেওয়া, আমফান ঝরে ভেঙে যাওয়া পাখিরবাসা মেরামতি ও নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে নিষ্ঠার সাথে নিরলসভাবে।
কৃষিকার্যের সঙ্গে যুক্ত তাদের পরিবারের প্রধান বাবাকে রোদ জল ঝরে চাষ করতে দেখে আত্ম উপলব্ধি করেছে তাঁরাই সমাজের সকল অংশের অন্নদাতা। অথচ তারাই এ সমাজে ব্রাত্য, আমাদের সুশীল সমাজের কাছে অনেক কৃষকই চাষা বলেই পরিচিত। কিন্তু কিশোর থেকে সদ্য যুবক হওয়া আবেগী মনে প্রশ্ন উঠেছিলো একজন ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তারের সাথে কি পার্থক্য কৃষকের!
সম্প্রতি কৃষি বিল নিয়ে একদল ব্যস্ত সুফল বোঝাতে অন্যদল ক্ষতিকারক দিকগুলো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কৃষকের সম্মান কোথায়?
তাই আজ বালিরচর ,রামনগর, স্টিমার ঘাটের মতো কৃষি প্রবন অঞ্চলের ১৫ জন কৃষককে নতুন বস্ত্র, পুষ্পস্তবক, মাথা টোকা, নিড়ানি, কাস্তে উপহার তাদের অর্পণ করে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন তারা যেন কৃষক হয়েই বেঁচে থাকেন। অন্যান্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সমাজের বিশিষ্ট জনেরা বসেন মঞ্চে কারুকার্য করা চেয়ারে! কিন্তু গতকালের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা রাজকীয় ভাবে বসেছেন মঞ্চে, বিশিষ্টজনেরা সাধারণের সঙ্গে মঞ্চের বিপরীতে। উদ্যোগী শান্তিপুর প্রয়াসের সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য, সমাজের সকল স্তরে এই বার্তা পৌঁছানোর জন্য আজকের এই আয়োজন।
আগত কৃষকগণ জানান আমরা আপ্লুত এ ধরনের আয়োজনে।