নিউজ সোশ্যাল বার্তা: ৩০ই অক্টোবর ২০১৯, মলয় দে ,নদীয়া:- ছোট্ট রিনা, তখন বয়স সবেমাত্র বছর পাঁচেক। বাবা-মা স্কুলে ভর্তি করবেন, এমন সময় আকস্মিক দুর্ঘটনায়, পা পিছলে পড়ে যায় ফুটন্ত গরমজলে । আংশিক দেহসহ পুরো মুখটা। স্কুলে ভর্তি করাতে গেলে, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা পর্যন্ত আপত্তি জানায়। পরবর্তীকালে, রাস্তাঘাট বাজার, এমনকি সেলাই স্কুলে, বিউটিশিয়ানের কাজ শিখতে গেলে ও শিক্ষিত সমাজের কাছ থেকে প্রত্যাক্ষিত হয় রিনা।
শান্তিপুর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারাগরের মারফত শেখের কন্যা রিনা খাতুন। বাবা মা বাদে নিজের জগত বলতে স্থানীয় একটি প্রতিবন্ধী সংগঠন। যাদের সঙ্গে, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়, মজা করে সে। ছোটবেলা থেকে ভাইফোঁটা দেওয়ার শখ ছিল তার। সংগঠনের অন্যতম সদস্য অনিমেষ বিশ্বাস পাশের পাড়ার বাসিন্দা নিয়মিত খোঁজ নিত রিনার। অবশেষে দাদার কাছে বোনের আবদার ভাই ফোটার। ক্রাচে এ ভর করা অনিমেষ বিশ্বাস বোনের জন্য পছন্দ করা শাড়ি নিয়ে এসে উপস্থিত।
মুসলিম ধর্মাবলম্বী হাওয়ায় রিনা খাতুন নিজস্ব ভালোবাসার, শ্রদ্ধার দাদার চোখে শোর্মা পরিয়ে, নামাজ পড়ে মঙ্গল কামনা করে। অনিমেষের ভাষায়, এরকম বোন পাওয়া ভাগ্যের। রিনার চোখেমুখে স্বপ্নপূরণের হাসি।
ধর্মীয় বেড়াজাল টপকে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দুই ভাই-বোনের ভালোবাসায়, সচেতন নাগরিকরা কতটুকু অনুধাবন করল সেটাই দেখার।
Facebook Page: News Social Barta 24×7