নিউ সোশ্যাল বার্তা,২৯শে অক্টোবর, সৌমেন মন্ডল,ঝাড়গ্রাম : বেলপাহাড়ি নামটা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মনে ভীতির সঞ্চার হতো । বর্তমান বেলপাহাড়ি আর আগের দিনের বেলপাহাড়ির মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক । এখন আর বন্দুক গুলি বোমার আওয়াজ পাওয়া যায় না। ঠক ঠক করে বুটের আওয়াজও আজ আর নেই । বাতাসে বারুদের গন্ধও আজ ইতিহাস। প্রকৃতির অকৃপন দানে সমৃদ্ধ ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে বর্তমানে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্না, নদী, ঝিল আজ হাতছানি দিয়ে ডাকে। আপনার দৈনন্দিন জীবনের চরম ব্যস্ততা থেকে অনেক দূরে গভীর সবুজ জঙ্গলের মধ্যে ঝর্নার জলের শব্দ শুনতে শুনতে মন উদাস হয়ে যাবে।
” ঢাঙিকুসুম ” বেলপাহাড়ি থেকে প্রায় ১৬ কিমি দূরে ঘন জঙ্গলের মাঝখানে একটি ঝর্না পাথরের খাঁজে কুলু কুলু শব্দে বয়ে চলেছে তার প্রবাহ। তবে জঙ্গলের ভেতর সামান্য কিছুটা পথ হেঁটে পৌঁছাতে হয় ওখানে। ইচ্ছে হলে ঝর্নার জলে পা ভেজাতে পারেন। শীতল জলে চোখ মুখ ধুয়ে সমস্ত ক্লান্তি ধুয়ে ফেলতে পারেন।কিছু সময়ের জন্য পেতে পারেন স্বস্তি । নিজেকে নিজের মধ্যে অন্যভাবে খুঁজে পাবেন।
উল্টো দিকে উঁচু সবুজ পাহাড়। পাথরের উপর ঝর্নার জলের স্বচ্ছ প্রবাহে খুঁজে পাবেন মনের নানা ভাবনা। এরকম নিরিবিলি মনোরম স্থান খুব কমই আছে। যেখানে বসে কল্পনা করা যায়। যেখানে বসে ভাবতে পারেন আপনার জীবনের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলির কথা । তবে হ্যাঁ মাঝে মাঝে পাখীর মধুর ডাকে নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে যায় । মুগ্ধ হবেন জায়গাটির সৌন্দর্য দেখে। এক অসাধারণ ভালো লাগা মনটা জুড়ে থাকবে সারাজীবন । বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকবে সবুজ প্রকৃতি আর ঝর্নার জলের শব্দ ।
স্থানীয় লোকের কিছু আবেদনও রয়েছে পর্যটকদের কাছে কোন রকম প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদি সামগ্রী এখানে ফেলবেন না।
বিস্তারিত জানতে খোঁজ নিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন বিভাগে ।