মূক ও বধির, দুই ভাইকে ভাইফোঁটা দিয়েই সারা বাঁচার অনুপ্রেরণা পান দিদি

Social

নিউজ সোশ্যাল বার্তা: ২৯ শে অক্টোবর, মলয় দে, নদীয়া:- শান্তিপুর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর মিস্ত্রীপাড়ার রমা সিংহের পরিবার মূলত তেলেভাজা বিক্রি করেই বিগত ৫০ বছর আগে থেকে বিখ্যাত সুধীর ভাজাভাজা পরিবার বলেই। রমা দেবীর জ্যেষ্ঠভ্রাতা, পরিবারের প্রধান পৃতম সুধীরবাবু গত হওয়ার পর থেকেই নিউক্লিয় পরিবার হতে শুরু হয় সমাজ ও কালের নিয়মে। বিষয় সম্পত্তি ভাগ হওয়ার পর রমা দেবীর ভাগে পরে বসত ঘরটি এবং মুখ ও বধির দুই ভাই রবীন্দ্র ও মানিক। রবীন্দ্র বাবু ৮০ শতাংশ ও মানিকবাবু ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যুক্ত।

দিদি রমা সিংহ জানান ভাইয়েরাই তার সন্তান । তাই কখনো নিজে স্বামী-সন্তানের স্বপ্ন দেখেননি। আজ ভাইফোঁটার দিনে দুই ভাইকে ফোঁটা দিয়ে পান প্রতিবছরের বাঁচার রসদ। প্রতিবছরের মতো এবছরও অর্থাভাবে নতুন বস্ত্র ব্যবস্থা না করতে পারলেও আবেগপূর্ণ ধান-দূর্বা, চন্দন এবং প্রদীপের আলো কেড়ে নিতে পারেনি দারিদ্রতা।পঞ্চাশোর্ধ দিদির সুতপাকিয়ে চালানোর সংসার বয়স জনিত কারণে ক্রমাগত গতি হারাচ্ছে। তাই তাঁর মৃত্যুর পর কি হবে এই একটাই দুশ্চিন্তা। সরকারি ভাতার আবেদন করেছিলেন বহুবার এবারেও, সরকারি লাল ফিতে ফাইলে বন্দি তার ভবিষ্যৎ। পেশায় সবজি বিক্রেতা এক ভাইপো এবং স্থানীয় একটি প্রতিবন্ধী সংগঠন ছাড়া এই মুহূর্তে পাশে আর কাউকেই পাচ্ছেন না তিনি।