মলয় দে, নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুরের আড়বান্দী পঞ্চায়েতের বাঁশডোপ গ্রামের বেশকিছু গৃহবধূর রোজগারের অন্যতম মাধ্যম পরিবেশ বান্ধব খেজুরপাটি ৷ বাঁশডোব গ্রামের জনৈক গৃহবধূ কিনু রাজোয়ার জানায় যে, লক ডাউনে মাঠে তেমন কাজ নেই ৷ স্বামীও মাঠে কাজ করায় তাঁরও একই অবস্থা ৷ ফলে সংসারের খরচ সামলাতে খেজুরপাটি বানাচ্ছেন ৷ শুধু এই গ্রামে নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসী মহিলাদের হাতের কাজ এর মধ্যে খেজুর পাটি বোনা অন্যতম।ঐ গৃহবধূ আরো জানায় যে, খেজুর গাছের পাতা কেটে এনে রোদে শুকিয়ে তারপর একটির সাথে আরেকটি পাতা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কোন আঠা বা সূতোর সাহায্য ছাড়াই জুড়ে দেন ৷ এইভাবে জুড়তে জুড়তে এক সময় পাটি বা মাদুরের আকৃতি নেই ৷ তারপর সেই পাটি শান্তিপুরের নতুনহাটে ১৫০টকায় বিক্রি করেন ৷ তবে তাঁদের পক্ষে অনেকটা পথ পেরিয়ে নূতন হাটে এসে বিক্রি করি সমস্যা হওয়ায় তাঁরা ফড়েদের কাছে বিক্রি করেদেন ৷ হাটে নিয়ে আসলে ১৫০টকা দাম পাওয়া যায় ৷ আর ফড়েদের কাছে দিলে ১২০/১৩০টাকা দাম পাওয়া যায় ৷ পাতা ছাড়ানো থাকলে একটি পাটি বানাতে পাঁচদিন সময় লাগে ৷ কিন্তু যেহেতু লক ডাউনে কাজ নেই তাই বেশী সময় লাগলেও ঐ পরিবেশ বান্ধব পাটি বানিয়েই কোনরকমে দিনগুজরান করছেন শান্তিপুরেহ বাঁশডোপ গ্রামের কিনু রাজোয়ার সহ বেশ কয়েকটি পরিবার ৷