মলয় দে নদীয়া:- গতবছরও নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তের আঁখ চাষীদের নিজেদের জমির আঁখ দাম না পাওয়ার কারণে জমিতেই আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উঠে এসেছিলো সংবাদমাধ্যমে।
তাই বারো মাসের বদলে আট মাসেই অনেক চাষি কেটে নিচ্ছে তাদের ফসল। প্রথমেই তাও খানিকটা দাম পাওয়া যায়, যদিও সুমিষ্ট হতে গেলে বারোমাস রাখা প্রয়োজন। কিন্তু সকলেরই একসঙ্গে ওঠে আঁখ ফলে দাম পাননা একেবারেই। কিন্তু আগেভাগে ফসল তুলতে পারলে কলকাতা থেকে বাইরের রাজ্যে নিয়ে যেতে পারলে দুটি পয়সার মুখ দেখেন চাষিরা। কারণ আমাদের পশ্চিমবাংলায় সুমিষ্ট স্বাদ পছন্দ করলেও বাইরে রাজ্যগুলিতে রসের গুণাবলীর উপর বিশ্বাসী, তাই সেখানে পৌঁছাতে পারলেই বিক্রি অবধারিত। অনেক সময় বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ, অ্যালোপ্যাথি সিরাপেও কম মিষ্টি যুক্ত আখের রস ব্যবহার হতে দেখা যায়। কিন্তু আমাদের রাজ্যে চিনিকলগুলোতে বা কাঁচা আঁখের রস খাওয়ার জন্য পরিপূর্ণ সুমিষ্ট আঁখ প্রয়োজন। আরো চার মাস জমিতেই রাখতে গেলে বেশ খানিকটা খরচ বেড়ে যায়, দীর্ঘদিন লকডাউনে বিভিন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি হয়েছে ফসল বানাজ তাই আগেভাগেই কিছু নগদঅর্থের আশায় কৃষকরা।