মলয় দে নদীয়া:- “রণে বনে জলে জঙ্গলে, বিপদ থেকে উদ্ধার করা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আজ ১৩০ তম তিরোধান দিবস। শৈব্য সেবাইত হিসেবে সর্বাধুনিক দৃশ্যমান মানুষরূপী এই ব্রহ্মচারীর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন অনেকেই।
নানা বিতর্ক থাকলেও, ভক্তবৃন্দদের বিশ্বাসে, ক্রমেই একজন শিব উপাসক থেকে ভগবান হয়ে যেতে খুব একটা সময় লাগেনি। পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া, বুদ্ধপূর্ণিমা, সবকটা ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ফসকে গেলেও সর্বশেষ আজ ১৯শে জ্যৈষ্ঠ গণেশ পুজোর শেষ দিন হিসাবে মেনে নিয়েছেন ভক্তবৃন্দ।
প্রসাদের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায় অন্য পুজোর থেকে ভিন্ন ধরনের উপকরণ হিসেবে মিছরি ব্যবহৃত হয়। বিগত ৩০-৪০বছর আগেও এভাবে লক্ষ্মী পুজোর মতন ঘরে ঘরে লোকনাথ পুজো হতো না। এমনকি পাড়ায় পাড়ায় লোকনাথ মন্দির গড়ে উঠেছে চোখে পড়ার মতো। স্বভাবতই বাঙালির উৎসব তালিকায় সংযোজিত হয়েছে তার জন্ম মৃত্যু দিনটি।
তবে এবছর লকডাউন শিখিল হলেও অর্থনৈতিক মানসিক এই দুই কারণে বেশ কিছুটা ম্লান হয়েছে আজকের দিনের গুরুত্ব। তবে ভক্তবৃন্দরা প্রত্যেকেই কোনরকমে তার বাড়িতে পুজো সেরেছেন রীতি মেনেই। দু একটি মন্দিরে ভিড় থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট উদ্যোক্তারা।