মলয় দে নদীয়া:-জামাই ষষ্ঠীর দিনই মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেলো রাধা কৃষ্ণ ৷ সঙ্গে শালগ্রাম শিলা ৷ নদীয়ার শান্তিপুরের ফটকপাড়ায় রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি দেখতে ভোর থেকেই লক ডাউন, সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করেই দলে দলে মানুষ ছুটে আসেন ঐ যুগলমূর্তি দেখতে ৷ সম্ভবত পাথরের কৃষ্ণ, অষ্টধাতুর রাধা ও একটি শালগ্রাম শিলা যা সাধারনত বিভিন্ন মন্দিরে পূজিত হন সেই একই জিনিস নাকি মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে এই কথা প্রচার হতেই দলে দলে মানুষ ছুটে আসেন ৷
শান্তিপুরের ফটকপাড়ার বাসিন্দা শিবু পালের ছেলে প্রবীর জানায় যে গত তিন মাস ধরে ঐ যুগল মূর্তির স্বপ্ন দেখছিলো সে ৷ প্রবীর আরো জানায় যে, অধিক রাত্রে ঐ বিগ্রহ নাকি তাঁকে স্বপ্নে উদ্ধার করার কথা বলে ৷ উদ্ধারের নির্দিষ্ট দিনও নাকি জানিয়ে দেন ঐ মূর্তি ৷ জামাই ষষ্ঠীর ভোর রাত্রে নির্দিষ্ট স্বপ্ন অনুযায়ী তাঁদের বাড়ির পিছনে সুপারি গাছের নীচে গর্তখুঁড়ে ঐ যুগলমূর্তিকে উদ্ধার করা হয় ৷ যদিও ঐটুকু ছোট্ট গর্ত থেকে রাধা, কৃষ্ণ ও একটি শালগ্রাম শিলা পাওয়া নিয়ে এলাকার মানুষের প্রশ্ন রয়েছে ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রয়া পাওয়া গেছে ৷ তবে অনেকেই ঠিক বিশ্বাস করতে চাইছেন না বিষয়টি ৷ বিজ্ঞান কর্মীদের মতে ওইটুকু গর্তে উচ্চতা অনুযায়ী ওই দুই মূর্তি কখনোই থাকার কথা নয়। এমনকি সম্পূর্ণ অক্ষত, রং পর্যন্ত ওঠেনি একটুকুও । ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার ওসি সুমন দাস এসে জমায়েত বন্ধ করেন, মূর্তিদুটি পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট বিভাগে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে থানায় নিয়ে যান।