মলয় দে নদীয়া:- ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা শেখানোর পাশাপাশি মানবিকতা শেখানোর বাড়তি দায়িত্ব পালনের জন্য গঠন হয়েছিল “বর্ণপরিচয়”। মূলত প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষা বন্ধু দের নিয়ে কিছু করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিলেন নদীয়া জেলার বর্ণপরিচয় এর সম্পাদক সনাতন বিশ্বাস, মুখপাত্র হীরা ঘোষ, সভাপতি সমীর অধিকারী, সমাজসেবী শিক্ষক চঞ্চল চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন। ধীরে ধীরে অনেক শিক্ষকের মনে হয়, স্কুল গুলি বন্ধ !
লকডাউনে গৃহবন্দি হয়ে, সরকারি বেতন নিয়ে শুধুমাত্র নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার চেয়ে , সমাজের যে অংশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে এই চরম সংকটময় মুহূর্তে তাদের জন্য কিছু করা প্রয়োজন। তাই লক ডাউন চলা প্রায় প্রতিদিন রাস্তায় নেমে কাজ শুরু করেছেন সদস্যরা।
ইঁটভাটার শ্রমিক, গর্ভবতী মা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দেব কখনো রান্না করা খাবার, কখনো বা শুকনো খাদ্যদ্রব্য বিতরনের জন্য নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। আজ এক অন্য ধরনের মানবিক মুখ দেখা গেলো “বর্ণপরিচয়” সদস্যদের।
ভিন রাজ্য থেকে রাজ্যে ফেরা, পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের শেষ সম্বল টুকু বাস ভাড়া দিয়ে কোনরকমে পৌঁছাতে চলেছেন পারিবারিক টানে। রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানগুলো বন্ধ। শান্তিপুর বাইপাসে মহারাষ্ট্র থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়া এরকম দুটি বাসে ৬০ জন শ্রমিকের মধ্যে কিছু শুকনো খাদ্যদ্রব্য জল তুলে দেওয়া হয়। এমনকি পরিবহন শ্রমিক যারা বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে জেলা বা রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাচ্ছেন, হাইওয়ের পাশে দোকানগুলো বন্ধ থাকার কারণে তারাও অভুক্ত। তাই তাদেরও কিছু সহযোগিতা তুলে দেয়া হলো আজ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় এভাবে আগামীতে অভুক্তদের খাদ্য যোগাতে বদ্ধপরিকর “বর্ণপরিচয়”।